স্টাফ রিপোর্টার : অর্থ আত্মসাতের মামলায় সাবেক দুই কাস্টম ইন্সপেক্টরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুন বাগিচা এলাকায় ওই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে দুদক। তারা হলেন, কাজী রফিকুল ইসলাম ও কালিপদ দাস। মামলা হওয়ার ১০ বছর পর তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা যায়। অপরদিকে প্রিমিয়ার ব্যাংকের খুলনা শাখার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মুজিবর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে দুদক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ কর্মকর্তা) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য ইনকিলাবকে বলেন, ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কাস্টমের দুইজনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুইজনকে রাজধানী থেকে অপর একজনকে খুলনা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, দুদকের উপসহকারী পরিচালক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে সংস্থার একটি দল ওই দুজনকে গ্রেফতার করে। প্রায় পাঁচ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের এপ্রিলে একটি মামলা করে দুদক। কাস্টমের ওই দুই কর্মকর্তা বাদে বাকি আসামিরা বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ডিপ্লোমেটস অ্যান্ড প্রিভিলেজড পারসন্স ট্যাক্স ফ্রি শপের কর্মী। মামলার পরদিন রফিকুল ও কালিপদ উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। আদালত মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দেন। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি বছরের আগস্টে রিট খারিজ হলে মামলাটি সচল হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান দুদকের উপসহকারী পরিচালক নাজিম উদ্দিন। তদন্তের অংশ হিসেবে রফিকুল ও কালিপদকে গ্রেফতার করা হলো। একই মামলায় গত ২৮ আগস্ট গ্রেফতার হন পর্যটন করপোরেশনের ট্যাক্স ফ্রি শপের সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. নাজমুল আরেফীন। তিনি বর্তমানে করপোরেশনের পিটিএস বিভাগের উপব্যবস্থাপক। দুদক সূত্রের ভাষ্য, কূটনীতিক ও বিশেষ সুবিধাভোগী ব্যক্তিদের নামে ইস্যু করা ২১৬টি জাল পাস বইয়ের বিপরীতে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও সিগারেট করপোরেশনের দোকান থেকে নিয়ে তা খোলাবাজারে বিক্রি করা হয়। আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে এই কাজ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন