পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে ঘাট স্থানান্তর করতে যাচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ঘাট স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে রো রো ফেরি না চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেতুর পিলারে পরপর চারবার ফেরির ধাক্কা লাগার ফলে এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
তীব্র স্রোতের কারণে তৈরি ঘূর্ণিই ফেরির বারবার ধাক্কার কারণ উল্লেখ করে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ফেরি চলাচলের পথে পদ্মা সেতু এলাকা এড়ানোর জন্য বাংলাবাজার ঘাট স্থানান্তরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। এই ঘাটটি শরীয়তপুরের জাজিরায় মাঝিরকান্দি ঘাটে নেওয়া হবে। এতে এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে।
চার দিনের ব্যবধানে আজ শুক্রবার পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারে কাকলি নামে ছোট একটি ফেরির ধাক্কা লাগে। সকাল পৌনে সাতটার দিকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কা লাগায় শুক্রবার (১৩ আগস্ট) নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হালকা আঘাত লাগলেও আমরা এটাকে হালকাভাবে দেখছি না। চালকদের দায়িত্বে উদাসীনতার কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ২০ জুলাই প্রথম পদ্মা সেতুর ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রো রো ফেরি শাহ মখদুমের তলা ছিদ্র হয়ে যায়। ২৩ জুলাই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা রো রো ফেরি শাহজালাল ১৭ নম্বর পিলারে ধাক্কা দিলে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর গত সোমবার সন্ধ্যায় রো রো ফেরি বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ১০ নম্বর পিলারে সজোর ধাক্কা খায়। এসব ঘটনায় সেতুর পিলারের পানি লাগোয়া অংশে (পাইল ক্যাপ) পলেস্তারা উঠে গর্তের সৃষ্টি করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন