আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী পলাতক পাঁচ খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর না করা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জনগণ ক্ষান্ত হবে না। গতকাল ঢাকার তেজগাঁও রেজিস্ট্রেশন কমপ্লেক্সে ‘বঙ্গবন্ধু গ্যালারি’ উদ্বোধন করে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার, নিবন্ধন অধিদফতরের মহাপরিদর্শক শদীদুল আলম ঝিনুক, আইন ও বিচার বিভাগের যুগ্ম সচিব বিকাশ কুমার সাহা, সলিসিটর রুনা নাহিদসহ নিবন্ধন অধিদফতরের সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে যে কমিশন গঠিন করা হবে, তা অবশ্যই নিরপেক্ষ হবে। দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে এই কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের কুশীলব ও নেপথ্যের ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করা হবে। জিয়াউর রহমানসহ সকলের পরিচয়, সকলের ন্যাক্কারজনক কাজ সাক্ষ্য প্রমাণসহ তুলে ধরা হবে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ইনডেমনিটি নামক কালো আইনের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের বিচার বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। জননেত্রী শেখ হাসিনা এই কালো আইন বাতিলের মাধ্যমে তার পিতা-মাতাসহ আপনজনদের হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন করেছেন। এই হত্যাকান্ডের বিচারে দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের ফিরিয়ে এনে আদালতের রায় কার্যকর করার সবরকম চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন নিরহঙ্কার, সাদামাটা মানুষ। তিনি অনেক বড় মাপের মানুষ হওয়া সত্তে¡ও সাধারণ জীবনযাপন করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ মতো আমাদেরকে চলতে হবে। তার আদর্শ ধারণ করতে হবে। ব্যক্তি শেখ মুজিব কী জিনিস ছিলেন সেটাও ধারণ করতে হবে। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেয়ার আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক নিবন্ধন অধিদফতর প্রাঙ্গনে একটি গাছের চারা রোপণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন