সোমবার, ২৭ মে ২০২৪, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

দেশে ফ্রি-ফায়ার, পাবজি বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ: স্বাগত জানাচ্ছেন নেটিজেনরা

শাহেদ নুর | প্রকাশের সময় : ১৬ আগস্ট, ২০২১, ৫:৩২ পিএম

দেশে জনপ্রিয় মোবাইল গেইম ফ্রি-ফায়ার, পাবজিসহ সব ধরনের ক্ষতিকর অনলাইন গেইম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসাথে সব অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম তথা লাইকির মতো সব ধরনের অনলাইন গেম এবং অ্যাপস বন্ধের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দীর্ঘদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় উত্থাপিত এই দাবিতে সাড়া দেয়ায় আদালতকেকে স্বাগত জানাচ্ছে নেটিজেনরা।

হাইকোর্টের এই নির্দেশ কে স্বাগত জানিয়ে এমডি শামীম রেজা লিখেন, ‘এটা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এটা কার্যকর হলে, অনেকে হয়তো আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে। আর বাবা মাও একটু শান্তি পাবে।’

আরিফিন চৌধুরী লিখেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা লেখাপড়া বাদ দিয়ে দিয়েছে, এইসব প্রবল আসক্তির গেইমের জন্য। এতে তারা স্বাভাবিক লাইফে ফিরে আসবে। এগুলো হল পজিটিভ দিক। নেগেটিভ দিক হল- অপরাধ বাড়তে পারে। খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় অন্য চিন্তা কম থাকতো। ডিপ্রেশন বাড়তে পারে। বাইরে যাবে, এতে করোনা বাড়তে পারে।’

সাইফুল আলম নজরুলমনে করেন, ‘তরুন প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার স্বার্থে, নির্দেশ পালনেও হাইকোর্টকে ভূমিকা রাখতে হবে।’

রাজিব ওমর লিখেন, ‘কেবল নির্দেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না, দরকার বাস্তব প্রয়োগ।’

সংশয় প্রকাশ করে শেখ রাসেল লিখেন, ‘আরও আগে বন্ধ করা উচিৎ ছিল! এটি আদৌ বাস্তবায়ন করা সম্ভব কিনা বলা মুশকিল।’

হুমায়ন রাশিদ জীবন লিখেন, ‘দুঃখজনক হলেও ইহাই সত্য লাইকি, টিকটক, পাবজি, ফ্রি ফায়ার আমাদের টিনেজ শিশু কিশোরদের সমাজটাকে এককভাবে শেষ করে দিচ্ছে। ঠিক তেমনি আবার ভারতীয় স্টার জলসা, জি বাংলা, স্টার প্লাস আসক্তি হয়ে অনেক ফ্যামলি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এসব বন্ধ করলেও লাভ নাই, আসক্তরা অন্য দেশের সার্ভার ভিপিএন দিয়া টিকই চালিয়ে যাবে।’

মমিনুর রহমানের দাবি, ‘ভিপিএন এর মাধ্যমে যেনো খেলতে না পারে সে ব্যাবস্থা করা হোক এবং টিকটক, লাইকি, ভিগো এগুলো বন্ধ করুন অতি দ্রুত।’

টিকটক লাইকি বন্দের দাবি জানিয়ে এমডি খোরশেদুল আলম লিখেন, ‘টিকটক লাইকি এসব এপ্লিকেশনও ব্যান করা হোক। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েগুলোকে নষ্ট করছে এসব ফালতু এপ্লিকেশনগুলো।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি পাশ্ববর্তী দেশ নেপালে পাবজি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভারতের গুজরাটেও এ গেইম খেলার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। এমনকি গেমটি খেলার জন্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছিল। বাংলাদেশেও পাবজি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছিল, পরে আবার চালু করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
মোঃ আকতার হোসেন মীর ১৬ আগস্ট, ২০২১, ৭:৩৬ পিএম says : 0
এই সব বন্ধ হলে আমি অনেক খুশি হতাম । কারণ আমি একজন ভুক্তভোগী বাবা ।
Total Reply(0)
মামুন রশিদ ১৭ আগস্ট, ২০২১, ১২:৫৫ এএম says : 0
খালি ভিপিএন ভিপিএন করেন মিয়া। ভিপিএন দিয়া আর কতক্ষন খেলবে? ভিপিএন দিয়ে খেলতে হলে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট স্পিডের অভাবে আস্তে আস্তে খেলাই ছেড়ে দিবে। আর কিসের অপরাধ বাড়বে? আর কিসের কি হবে? ইন্ডিয়াতে ব্যান করে নাই? এগুলা ব্যান করার পর ভারত কি অপরাধের আতুরঘর তৈরী করে ফেলছে? আসলে এগুলো বন্ধের পেছনে আপনারা কোন স্বার্থ খুজে পাচ্ছেন না। ভারতের মতো রাজনৈতিক স্বার্থ থাকলে অনেক আগেই বন্ধ করে দিতেন। ছেলে-মেয়েরা যে কোন পর্যায়ে চলে গেছে সেটা আপনারা কল্পনাও করতে পারছেন না। তাই কোন কার্যকর পদক্ষেপ নাই। এগুলো বন্ধ করলে ছেলে-মেয়েরা ভালো গঠনমূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ। এই গেমসগুলোর কারনে তারা চাইলেও ভালো কিছুতে মনোযোগ দিতে পারছে না।
Total Reply(0)
Nur A Rahman Fahad ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:২৯ পিএম says : 0
এইসব নেগেটিভ দিক চিন্তা না করে কিছু পজিটিভ চিন্তা করতে হবে। এর কারনে আমি একজন বাবা হয়ে বলছি, আমার ছেলে কলেজে পড়া সত্তেও আমার ছেলে এই গেমটির কারণে মাস শেষে কত হাজার হাজার টাকা রেমিট্যান্স আনছে। এই গেমের টাকা দিয়ে একটা পরিবার চলছে। এই জন্যই আমি বলব আমি এই গেম এবং এই রকম গেমার ছেলের জন্য গর্বিত।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন