স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় হোল্ডিং ট্যাক্স সমতায় আনতে হোল্ডিং ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন কাজ শুরু করেছে ডিএসসিসি। গতকাল রোববার সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ১ ও ২-এর আওতাভুক্ত এলাকায় এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ জন্য গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করে সিটি কর্পোরেশন। তবে ট্যাক্স সমতার নামে যাতে বৃদ্ধি করা না হয় সে জন্য বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়।
কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই নগরীর বিভিন্ন এলাকার হোল্ডিং ট্যাক্সে সমতা ছিল না। এলাকায় ট্যাক্সের ব্যবধান ছিল বহুগুণ। পুরনো বাড়ির মালিকরা ২৫ বছর আগের ধার্য করা ট্যাক্সই পরিশোধ করছেন। অথচ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে কর্পোরেশনের সেবার মান বৃদ্ধি পেলেও তাদের ট্যাক্স বাড়েনি। অন্যদিকে ওই সময় যে ভবনটি ছিল ২তলা সেটি এখন ২০তলায় উন্নীত হয়েছে। কিন্তু ট্যাক্স দেয়া হচ্ছে আগের হিসাবেই।
আর এ কারণেই পুরনো ট্যাক্সদাতাদের সঙ্গে নতুন বাড়ির মালিকদের ট্যাক্স পুনর্মূল্যায়ন করে সমতায় আনা হচ্ছে বলে জানান তারা।
তারা আরো জানান, বিভিন্ন সময়ে এসব অসঙ্গতি কর্তৃপক্ষের নজরে এলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আইনি জটিলতা আর ভোটের হিসাব-নিকাশের কারণে উদ্যোগটি বন্ধ ছিল। এজন্য বড় ধরনের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন।
সূত্রটি জানায়, সিটি কর্পোরেশনের এ উদ্যোগের ফলে আরো ৮ লক্ষাধিক হোল্ডিং বা বাড়ি ট্যাক্সের আওতায় আসবে। উদ্যোগটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হলে কোনো হোল্ডিং মালিক ট্যাক্স প্রদান থেকে বিরত থাকতে পারবেন না। তাছাড়া যারা ২৫ বছর আগের ধার্য করা ট্যাক্সই দিচ্ছেন। তাদের ট্যাক্স বর্তমান সময়ের সঙ্গে সমন্বয় করে পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
সূত্রটি আরো জানায়, প্রাথমিক অবস্থায় দক্ষিণের অঞ্চল-১ ও ২ নির্ধারণ করা হয়েছে। সংস্থাটি দ্য মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (ট্যাক্সেশন) রুলস ১৯৮৬ আইনের ২১ বিধি অনুযায়ী ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে বিভিন্ন ভবন, বাড়ি, ফ্ল্যাট অথবা হোল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সমতা আনতে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়ন করবে। এ জন্য বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে যদি কারো আপত্তি থাকে তাহলে কর্পোরেশনকে লিখিতভাবে জানাতে হবে।
ডিএনসিসি অঞ্চল ১-এর কর কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশ্রাফুজ্জামান হাওলাদার বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স সমতায় আনতে আজ (গতকাল রোববার) থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে হোল্ডিং ট্যাক্সে যে বৈষম্য ছিল তা সমতায় আসবে। তাছাড়া এ বিষয়ে কারো কোনো আপত্তি থাকলে অভিযোগ জানাতে হবে।
এদিকে সমতায় আনার নামে হোল্ডিং ট্যাক্স না বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে গণতান্ত্রিক পার্টি। পার্টির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকনকে অনুরোধ করে বলেন, নির্বাচনকালীন প্রতিশ্রæতি ভঙ্গ করে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়াবেন না। বাড়ির ট্যাক্স বৃদ্ধি করলে বাসা ভাড়াসহ অন্যান্য জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাবে। যার ফলে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন