চট্টগ্রাম ব্যুরো : সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন, ইসলাম মানবতার কল্যাণে নিবেদিত। ইসলামের শিক্ষাকে যারা ধারণ করে মানব কল্যাণ করেন তারা প্রকৃত অর্থেই মানবতাবাদী।
হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাÐারীর ২৮তম বার্ষিক ওরস উপলক্ষে গতকাল (রোববার) নগরীর ফিরিঙ্গিবাজার কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত বিনামূল্যে চক্ষুশিবির কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র একথা বলেন। এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মাইজভাÐারী গাউসিয়া হক কমিটি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মাকসুদুর রহমান হাসনু।
মেয়র বলেন, মাইজভাÐারী গাউসিয়া হক কমিটি মানবসেবায় নানামুখী কর্মকাÐ পরিচালনা করে সাধারণ মানুষের মন জয় করেছে। মেয়র পবিত্র ইসলামের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সা: নানা ধরনের নিপীড়ন সহ্য করে মানবতার কল্যাণে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি কারোর ওপর প্রতিশোধ নেয়ার মতো কোনো কর্ম করেননি। ইসলাম প্রতিহিংসা, শক্তি প্রদর্শন, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাÐকে সমর্থন করে না।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আলকরন ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন। আলোচনা করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক সওকত হোছাইন, মাইজভাÐারী গাউসিয়া হক কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফ, আলকরন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি তারেক ইমতিয়াজ ইমতু, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
বিনামূল্যে চক্ষুশিবিরে রোগী দেখেন চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও চক্ষু বিভাগের প্রধান ডা: মোজাম্মেল হক শরিফি, চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা: সৈয়দ মোহাম্মদ আশিকুর রহমান ও ডা: এরফান উল্লাহ রায়হান। চক্ষুশিবিরে গরিব, অসচ্ছল ও দুস্থ রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন।
সমন্বয় সভা
জাপানের জাইকার অর্থায়নে সিটি গভর্ন্যান্স প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়ন ও ইনক্লুসিভ নগর পরিচালনা কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত সিভিল সোসাইটি কো-অর্ডিনেশন কমিটির ৫ম সভা গতকাল কে বি আবদুচ ছত্তার মিলনায়তনে কমিটির সভাপতি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। মেয়র জানান, ১৯টি প্রকল্পের অধীনে প্রায় ১৮৭ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করছে জাইকা। দ্বিতীয় ধাপে জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৫৮৭ কোটি টাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে জাইকা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়নের আওতায় নিয়েছে। তিন অর্থবছরের মধ্যে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের সবগুলো সড়ক, রাস্তা ও বাইলেন কার্পেটিং করা হবে। নগরীর সবগুলো খাল ও নালার মাটি উত্তোলন করা হবে। শহরকে এলইডি, সোলারের আওতায় এনে শতভাগ আলোকিত করা হবে। নগরীর ফুটপাথ, মিডআইল্যান্ড ও গোলচত্বর বিউটিফিকেশনের আওতায় দৃষ্টিনন্দন ও গ্রিন করা হবে। নগরীর যানজট নিরসনসহ ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন