পদ্মা সেতুর মতো চট্টগ্রাম বন্দরের বে টার্মিনাল বাংলাদেশের গর্ব উল্লেখ করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থের কোন সমস্যা নেই।
বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় চট্টগ্রাম বন্দরের হালিশহরস্থ ‘বে-টার্মিনাল’ পরিদর্শনকালে এ মন্তব্য করেন তিনি । এ সময় তার সাথে ছিলেন নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, পিপিপি কর্তৃপক্ষের সিইও মিসেস সুলতানা আফরোজ, বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান, বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, সচিব মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এখানে বে টার্মিনাল হবে। সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। ইতিমধ্যে টাইমলাইন ঠিক করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর এখানে মাল্টিপারপাস টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু করবে৷ জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। মাটি ভরাটের কাজ হয়তো স্লো হচ্ছে। তিনি বলেন, বে টার্মিনাল নির্মাণে বিদেশি অনেক বিনিয়োগকারী উচ্ছ্বসিত ছিল। কোভিডের কারণে কিছুটা সময় লাগছে। বঙ্গবন্ধুর কথা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব। তাই দেশের স্বার্থ রক্ষা করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। অধিগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পায়রাতেও জমি অধিগ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসনকে টাকা দিয়েছি। সঠিক ব্যক্তি যাতে টাকা পায় সেটা জেলা প্রশাসন দেখবে। প্রকৃত জমির মালিক ন্যায্য হিস্যা পাবে। প্রধানমন্ত্রী জমি অধিগ্রহণে তিনগুণ টাকা দিচ্ছেন। আগে জমি অধিগ্রহণের কথা শুনলে পালিয়ে যেত মানুষ।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নে পুরোদমে কাজ করছি। স্টাডি আপডেট করার জন্য নতুন কনসালটেন্ট নিয়োগ করছি। এরপর ই-টেন্ডার হবে। ২০২৪ সালের আগেই দু-একটা টার্মিনাল চালু করতে চাই। সব নির্ভর করবে সমন্বয় ও সিদ্ধান্তের ওপর। দায়িত্ব, আন্তরিকতা দৃঢ়তা নিয়ে কাজ করতে হবে।
বন্দর কর্মকর্তারা জানান, বে টার্মিনালে ৩টি টার্মিনাল হবে। এর মধ্যে টার্মিনাল-১ চট্টগ্রাম বন্দরের অর্থায়নে হবে। বে টার্মিনালে ২২ মিটার ড্রাফটের জাহাজ ভিড়বে। ১১ কিলোমিটারের প্রাকৃতিক আইল্যান্ড আছে, যা ব্রেক ওয়াটার হিসেবে কাজ করবে। এ টার্মিনালে ২৪ ঘণ্টা অপারেশন চলবে। ১৫ হাজার ট্রাক রাখার ব্যবস্থা থাকবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন