ডাক্তার এবং সাধারন মানুষ সবাই জেনে গেছে এই করোনায় শ্বাসকষ্ট নিয়েই বেশীর ভাগ মানুষ মৃত্যু মুখে পতিত হচ্ছে। তাই হাঁপানি ও ধুমপায়ীরা এখন বাড়তি ঝুঁকিতে আছে। শ্বাসকষ্ট এবং কাশির বিভিন্ন কারণ আছে। এদের মধ্যে হাঁপানি অন্যতম। হাঁপানি আমাদের দেশের এখন খুবই পরিচিত একটি রোগ। অ্যাজমা বা হাঁপানিতে অনেক মানুষই কষ্ট পাচ্ছেন। প্রতিদিন অনেক মানুষ হাসপাতালে হাঁপানি নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ দুর্ভাগ্যক্রমে মৃত্যুবরণ করেছেন।
সব শ্বাসকষ্ট কিন্তু হাঁপানি নয়। নানা কারণে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। হাঁপানির কারণে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বুকের ভেতরে বাঁশির মতো শব্দ হয়। ধূমপান যিনি করেন তিনি নানা ক্ষতিকর উপাদান গ্রহণ করেন। বিভিন্ন ধরনের উপাদান সিগারেটের ধোঁয়ার ভেতরে থাকে। এসব উপাদান শ্বাসনালীর ভিতর নানারকম সমস্যা তৈরি করে। তখন শ্বাসনালী সরু হয়ে গিয়ে অ্যাজমার অ্যাটাক শুরু হয়। শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। অনেক রোগী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে।
১. শ্বাসনালীর দেয়ালে অনেক সিলিয়া থাকে। এইসব সিলিয়া দূষিত বা খারাপ পদার্থ আমাদের শরীর থেকে বের করে দেয়। ধুমপান করলে সিলিয়া নষ্ট হয়ে যায়। ফলে খারাপ উপাদান সহজেই শ্বাসনালীতে প্রবেশ করতে পারে। হাঁপানির প্রকোপ বাড়ে।
২. ধূমপান করলে বেশি বেশি মিউকাস নিঃসরণ হয়। শ্বাসনালীতে বেশি মিউকাস বের হলে সেটা শ্বাসনালীতে জমা হয়ে নালীকে আরও সরু করে ফেলে এবং এর ফলে হাঁপানির অ্যাটাক শুরু হতে পারে। এছাড়াও ধূমপান করলে বিভিন্ন রকম খারাপ উপাদান আমাদের শরীরে ঢুকে। এসবের মধ্যে কোন কোন উপাদান আমাদের শরীরে ক্যান্সারও তৈরি করতে পারে।
৩. শুধু যে ব্যক্তি ধূমপান করে তার যে একারই সমস্যা হয় তা নয়। ধূমপায়ীদের আশেপাশে যারা থাকেন তারাও কিন্তু সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যারা ধূমপান করেন তাদের সমস্যা লেগেই থাকে। একের পর এক সমস্যা হতে থাকে। অনেক সময় তার পরিবারের সদস্যদেরও হতে পারে গুরুতর ক্যান্সার। তাই ধূমপান বন্ধ করতেই হবে। ধূমপান বন্ধ করলে হাঁপানির প্রকোপ থেকেও বেঁচে থাকা যাবে। বাঁচা যাবে মরণঘাতি ক্যান্সার হতে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন