কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) উপজেলা সংবাদদাতা : মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে চার সন্তানের জনক মুদি দোকানী কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের উদ্যোগে জনতা ধর্ষককে ধরে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। শনিবার রাতে নির্যাতিতা শিশুর বাবা রিকশা চালক কমলগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার সকাল আটটায় কমলগঞ্জ পৌরসভার দক্ষিণ কুমড়াকাপন এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
কুমড়া কাপন গ্রামের রিকশা চালক জুম্মা উদ্দীনের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল আটটায় তার মেয়ে ভানুগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী চিনি কিনতে পাড়ার হেলাল উদ্দীন (৫০)-এর দোকানে যায়। এসময় একা পেয়ে চার সন্তানের জনক হেলাল উদ্দীন স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর ছাত্রী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষক নিজ উদ্যোগে তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ছাত্রীর অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ হলে পরে তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি প্রাথমিকভাবে ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ নিজ উদ্যোগে খোঁজ নিয়ে শনিবার রাত ১০টায় জনতার মাধ্যমে শমশেরনগর বাজার থেকে পলাতক ধর্ষক হেলাল উদ্দীনকে ধরে থানায় সোপর্দ করেন। নির্যাতিতা ছাত্রীর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন।
নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা রিকশা চালক জুম্মা উদ্দীন বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি।
কমলগঞ্জ থানার উপ পরিদর্শক জাহিদুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষক আটক আছে। অভিযোগটিকে মামলা হিসাবে গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন