শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রাস্তাতো নয় যেন ধান ক্ষেত!

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০২১, ১২:০১ এএম

একটু বৃষ্টিহলেই রাস্তায় জমে হ্াটু কাঁদা। বর্ষা মৌসুম আসলেই রাস্তা দিয়ে যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও চলাচল করার উপায় থাকে না। কার্পেটিং না করায় নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমচিলান ইউনিয়নের সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে দায়েরপাড়া পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার গ্রামীন রাস্তায় কাঁদা জমে জনদুর্ভোগ চরমে। বর্তমানে রাস্তাটি যেন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত রাস্তার বেহাল অবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ রাস্তাটি কার্পেটিং করার জন্য কার্যকরী কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় বর্তমানে রাস্তা জুড়ে কাঁদায় মাখা-মাখি। সড়ক দেখে মনে হবে যেন চাষ করা ধানের জমি। বিকল্প কোন সড়ক না থাকায় রাস্তদিয়ে প্রতিদিন এই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ সেকচিলান বাজার, ওয়ালিয়া বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে থাকে। এছাড়াও সেকচিলান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সেকচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য প্রধান রাস্তা এইটি। ফলে প্রয়োজনের তাগিদে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ এই রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
স্থানীয় হাসেম আলী জানান, সেকচিলান বাজার থেকে দায়েরপাড়া পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি পাকা না করায় আমাদের খুব সমস্যা। বিশেষ করে ডেলিভারী রোগী নিয়ে যাওয়া সমস্যা। বর্ষার সময় আরো বেশি কষ্ট, স্কুলের ছেলে-মেয়ে স্কুলে যেতে পারেনা। বাজারে যাওয়ার সময় প্রতিদিন হাঁটু কাঁদা পার হয়ে বাজার করতে যেতে হয়। সব রকম চেষ্টা করেও রাস্তা পাকা হচ্ছে না।’
রাস্তদিয়ে চলাচলকারী হারুন আলীসহ স্থানীয়রা জানান, ভ্যান-রিক্সা তো দূরের কথা বর্ষা মৌসুম আসলে পায়ে হেঁটে যাওয়া মুশকিল। তার পরেও প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের কয়েক গ্রামের প্রায় ২-৩ হাজার মানুষরে প্রতিদিন এভাবেই কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হয়। স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য আলাল উদ্দিন সরদার জানান, রাস্তটি খুব গুরত্বপূর্ণ। কিন্তু রাস্তা কার্পেটিং করার জন্য সবরকম চেষ্টা করেও আমরা ব্যার্থ হয়েছি। রাস্তাটি পাকা হলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে পাশাপাশি এই এলাকার মানুষের অর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে।
লালপুর উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার আলী জানান, এই রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। রাস্তা পাকাকরণে জন্য এলজিইডিতে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। পাশ হয়ে আসলে রাস্তার কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন