হেফাজতে ইসলামের আমির দেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মজলুম আলেমেদ্বীন আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীর ইন্তেকালে বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ অব্যাহত আছে। হাটহাজারী মাদরাসা ক্যাম্পাসে তার কবর জিয়ারতে আসছেন অনেকে। অন্যদিকে নবনিযুক্ত আমির প্রবীণ আলেমেদ্বীন আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীরকে হেফাজতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থকরা অভিনন্দন জানিয়েছেন। অনেকে তার সঙ্গে দেখা করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
মাত্র ১১ মাসের মাথায় হেফাজতের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী এবং আমির আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরীর ইন্তেকাল করলেন। দুই জনের নামাজে জানাযায় লাখো মানুষের ঢল নামে। দুই জনকে শায়িত করা হয় তাদের প্রিয় কর্মস্থল হাটহাজারী মাদরসার কবরস্থানে। হেফাজত নেতারা বলছেন, বাংলাদেশে যখন নাস্তিক মুরতাদরা ইসলাম ও মুসলমানদের কলিজায় আঘাত করেছিলেন ঠিক তখনই সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে আল্লামা আহমদ শফি (রঃ) গঠন করেছিলেন হেফাজতে ইসলাম নামক অরাজনৈতিক সংগঠন। তিনি আমির নির্বাচিত হয়ে তারই আস্তাভাজন জুনাইদ বাবুনগরীকে করেন মহাসচিব। তাদের নেতৃত্বে নাস্তিক মুরাত বিরোধী আন্দোলনে ব্যাপক সাড়া পড়ে। গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর তার ইন্তেকালের পর ১৫ নভেম্বর আমির নির্বাচিত হন জুনাইদ বাবুনগরী। তার ইন্তেকালের পরে আমির করা হয় হেফাজতের প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীকে। তিনি জুনাইদ বাবুনগরীর মামা। তিনি হেফাজতের তৃতীয় আমির। মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ফটিকছড়ি বাবুনগর আজিজুল উলুম মাদরাসার মহাপরিচালকের দায়িত্বে আছেন। হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্ব কী হাটহাজারী মাদরাসা থেকে চলে যাচ্ছে এমন প্রশ্ন অনেকের। তবে হেফাজতের শীর্ষ দুটি পদ হাটহাজারীর বাইরে চলে গেছে। মহাসচিব মাওলানা নুরুল ইসলাম জিহাদী ঢাকার বাসিন্দা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন