ফেনীতে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুবাই প্রবাসী মো. সোহেল নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে তার স্ত্রী শিউলী দুই সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যান। সোহেলের মা নিরালা বেগম গত শুক্রবার রাতে পুত্রবধূ রোকেয়া বেগম শিউলীকে একমাত্র আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে গত শনিবার রাতে শিউলীকে তার নিজ এলাকা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নারানকরা চাচার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সাথে থাকা তার দুই সন্তানকে উদ্ধার করা হয়।
গতকাল সকাল ১০টায় র্যাব-৭ ফেনীর মহিপালে তাদের ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ফেনীস্থ র্যাব-৭ এর কোম্পানি অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লীডার আবদুল্লাহ আল জাবের ইমরান তার ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিউলী এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্য মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চুরি, বটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সোহেলের স্ত্রী শিউলী জানায়, গত ১৬ জুলাই তার স্বামী দুবাই থেকে দেশে আসে। দেশে আসার পর থেকে পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে প্রায় তাদের দুজনের কথা কাটাকাটি হতো। এর জের ধরে গত ২০ আগস্ট রাতে তাদের মধ্যে আবার ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সোহেল মৌখিকভাবে তাকে তালাক দেয়। পরবর্তীতে ওইদিন রাত সাড়ে ১২ টার দিকে শিউলী তার স্বামী সোহেলকে প্রথমে পিছন থেকে এলোপাতাড়ি কোপায়, পরে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করে। এরপর শিউলী রাত ১ টার দিকে বাসার দারোয়ানকে বলে তার বাবা মারা গেছে গেট খুলে দিতে। গেট খুলে দেয়ার পর সে তার দুই সন্তানকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়। রাতেই সে ট্রেন যোগে চট্টগ্রাম চলে যায়। পরদিন ফটিকছড়িতে সারাদিন থাকার পর রাত ৩ টার দিকে সে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রামে তার চাচার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন