স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলার সব নথিপত্র পুলিশের পরিবর্তে আদালতের হেফাজতে তালাবদ্ধ করে সংরক্ষণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাবুল আক্তারের আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমান এ আদেশ দিয়েছেন। ওই মামলাটি ইতোমধ্যে পুলিশ চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে নিষ্পত্তি করেছে। একই ঘটনায় মামলার বাদী বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে আরেকটি মামলা দায়েরের পর নতুনভাবে তদন্ত শুরু হয়েছে।
২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মিতুকে। স্ত্রী খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন এসপি বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদসহ নানা নাটকীয়তার পর ওই বছরের আগস্টে বাবুল আক্তারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ১১ মে বাবুল আক্তারকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলার তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই। তদন্তে বাবুল আক্তারের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের লক্ষ্যে ১২ মে ওই মামলার ৫৭৫ পৃষ্ঠার চ‚ড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা দেয় পিবিআই। বাবুল আক্তারের আইনজীবী শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বলেন, বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় তদন্তে নেমে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। সেগুলোর ভিত্তিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। তখন মামলা তদন্তের গতিপথ ছিল এক ধরনের, এখন আবার আরেকভাবে তদন্ত হচ্ছে। আমাদের আশঙ্কা, আগের নথিপত্র টেম্পারিং করে তদন্তকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে আসামি বাবুল আক্তারকে ফাঁসিয়ে দেয়া হতে পারে। সেজন্য আমরা নথিপত্রগুলো পুলিশ বা জেনারেল রেকর্ড শাখার পরিবর্তে জুডিশিয়াল হেফাজতে রাখার জন্য আদালতে আবেদন করেছি। নিয়ম অনুযায়ী, আমাদের লকার ও চাবি সরবরাহের আদেশও দিয়েছেন। আমরা মঙ্গলবার সকালেই লকার ও চাবি দিয়ে আসব। এদিকে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মিতু হত্যা মামলার নথিপত্রের সার্টিফাইড কপিও আইনজীবীকে সরবরাহের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন