বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ দুলাল আহমদ বলেন, কারবালার ঘটনা নিছক এক ঐতিহাসিক ঘটনা নয় বরং ত্যাগের সর্বোৎকৃষ্ট নিদর্শন। রাসুল (সা.) এর দৌহিত্র সায়্যিদুনা হুসাইন (রা.) এর সাথে যে নির্মম আচরণ করেছে ইয়াজিদ বাহিনী তা মুমিন মাত্রই জানেন। ইতিহাস তালাশ করলে পাওয়া যায়, সায়্যিদুনা হুসাইন (রা.) সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর পবিত্র শির মুবারক কোরবানি দিয়েছেন কিন্তু বাতিলের কাছে আপোষ করেননি। আমাদের জন্য কারবালার ঘটনা থেকে সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো, সত্যের পক্ষে সর্বদা আপোষহীন থাকা।
বর্তমান সময়ে ঐতিহাসিকভাবে সুবিদিত এই ত্যাগের ইতিহাসকে বিকৃত করে নব্য ইয়াজিদ প্রেমীরা ইয়াজিদকে নির্দোষ সাব্যস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকি তার অনেক বানোয়াট বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হচ্ছে, যা কোনো সূত্রেই প্রমাণিত নয়। এজন্য কারবালার ইতিহাস অধ্যয়ন করা, আলোচনা করা ও মানুষের মধ্যে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরা আমাদের কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে হুসাইন (রা.) বিরোধী সকল অপপ্রচার ও কারবালার প্রকৃত ইতিহাসের বিকৃতি রুখে দিতে তালামীযে ইসলামিয়ার কর্মীবৃন্দসহ সবাইকে আহবান জানান।
রোববার, বিকেলে সিলেট একটি রেস্তোরাঁয় বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়া সিলেট মহানগর আয়োজিত ‘কারবালা ও আশুরা : তাৎপর্য ও শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তালামীযে ইসলামিয়ার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
শাখা সভাপতি এস এম মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পিয়ার হাসান ও সহ-সাধারণ সম্পাদক কাওছার হামিদ সাজুর যৌথ সঞ্চালনায় সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজতবা হাসান চৌধুরী নুমান।
শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক এম. শামছ উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সূচিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ’র প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা নজমুল হুদা খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আনজুমানে আল ইসলাহ ইউকে’র সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কয়েছুজ্জামান, সিলেট মহানগর আল ইসলাহ’র সাধারণ সম্পাদক আজির উদ্দিন পাশা, মুহাম্মদ মুহিবুর রহমান, মো. মনজুরুল করিম মহসিন, মাহবুবুর রহমান ফরহাদ, মাহবুবুর রহমান, ইসলাম উদ্দিন চৌধুরী ও জেদ্দা আল ইসলাহ’র সভাপতি মো. শামসুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন