পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় মৎস্য বন্দর মহিপুরের জেলেদের জালে আবারো ধরা পড়েছে ৮ মন ওজনের বিরল প্রজাতির ৭ টি পাখি মাছ। গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে কালাম উল্লাহ নামের এক মাঝির জালে ৫ টি ও সোবাহান নামের অপর এক মাঝির জালে ২ টি মাছ ধরা পরে। ৭ টি মাছের মধ্যে ৩ টির ওজন ৬০ কেজি করে, ১ টি ওজন ৪৫ কেজি ও অপর ৩ টির ৩১ কেজি করে। পরে আজ (শুক্রবার) দুপুরে মাছগুলো মৎস্য বন্দর মহিপুরের এমকে ফিস নামের গদিতে বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়। মাছগুলো এক নজর দেখতে ভীড় জমায় স্থানীয়রা।
জেলেরা জানায়, দ্রুতগামী এ পাখি মাছ এর আগে কখনো তাদের জালে ধরা পরেনি। মাছের ওজন বেশি হওয়া ঘাটে নিয়ে আসতে তাদের বেশ কষ্টসাধ্য হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, মাছগুলো খেতে বেশ সুস্বাদু হওয়ার দেশের বাইরে বেশ চাহিদা রয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল্লাহ বলেন, এলাকার মানুষ এটিকে পাখি মাছ নামে চিনলেও এটির সাইন্টিফিক নাম সেইল ফিশ। দ্রুতগামী এ মাছ খেতে খুব সুস্বাদু হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ মাছ গভীর সমুদ্রে বেশি দেখা যায়।
উল্লেখ্য বুধবার রাতে বঙ্গোপসাগরের বৈরাগী বয়া সংলগ্ন এলাকায় এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারে নুরুন্নবী মাঝি নামের এক জেলের জালে এ পাখি মাছ ধরা পড়ে। ৮ টি মাছের মধ্যে ৩ টির ওজন ৬০ কেজি করে, ৪ টির ওজন ৫৫ কেজি করে ও অপর ১ টির ওজন ৪০ কেজি। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে মহিপুরের আড়ৎ পট্টিতে মাছগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়।
নুরুন্নবী মাঝি বলেন, প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২ ফুট প্রস্থের ৩ টিসহ মোট ৮ টি পাখি মাছ ট্রলারে তুলতে তাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। মাছগুলো মেসার্স টিপু ফিস মৎস্য আড়দের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে বলে তিনি জানান। স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী পিন্টু ভদ্র এ মাছ কিনেছে ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন