২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড ইনচার্জদের দায়িত্বহীন, অনিয়মের কারণে ২৪ জনকে রদবদল করা হয়েছে। রদবদল হওয়া নার্সদের অনেকেই নিয়ম বর্হিভুতভাবে একযুগেরও বেশি সময় ধরে একই চেয়ারে দায়িত্ব পালন করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল শনিবার বিষয়টি জানান নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন। এরআগে গত ২৬ আগষ্ট তার স্বাক্ষরিত একচিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
চিঠিতে বলা রয়েছে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের নিয়মানুযায়ী প্রতি দুই বছর পর পর পেশাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে প্রতিটি নার্সের ওয়ার্ড ইনচার্জের কর্মক্ষেত্র পরিবর্তনের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু জেলার এ হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সেসব ওয়ার্ড ইনচার্জরা একই কর্মস্থলে নিজেকে বহাল রেখেছেন। এর ফলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় সৃষ্ট হয়েছে চরম নৈরাজ্য। একই কর্মস্থলে বহাল থাকার দৌরাত্ম্যে দায়িত্বশীল অনেক নার্স ইনচার্জদের ওদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ ও হেয়ালিপনায় স্বাস্থ্যসেবা থেবে বঞ্চিত হয়েছে জেলার সাধারণ মানুষ। ডিজিএনএম এর স্মারক মোতাবেক ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্দেশে পর্যায়ক্রমে ওয়ার্ড ইনচার্জের অব্যহতি নেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর পেক্ষিতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তাগণকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে পরিবর্তনকৃত নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সাথে দায়িত্বগ্রহণ করে তত্ত্বাবধায়ক বরাবর রিপোর্ট করতে বলা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের নিয়মের তোয়াক্কাহীন নার্সরা এক যুগের ও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধ্যান-দরবার ও অসদ উপায়ে একইস্থানে বহাল থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ছেন আলিসান বাড়ি-গাড়ি, প্ল্যাটও। তথ্যমতে, ইতোপূর্বে সরকারের নিয়মনীতির প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে এক যুগেরও বেশি সময় বহাল তবিয়তে থাকা ওয়ার্ড ইনচার্র্জদের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা, সমালোচনা ও খবর প্রকাশিত হয়।
জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন জানান, নাসিং ও মিডওয়াইফারি অধিদফতরের নিয়মানুযায়ী প্রতি দুই বছর পর পর এরুপ রদবদল হওয়ার কথা। কিন্তু আমি এখানে যোগদানের পর ফাইলপত্র দেখে ও খোঁজখবর নিয়ে দেখেছি, এখানে কেউ কেউ এক যুগ ধরেও একই জায়গায় কর্মরত রয়েছেন। সে কারণে অধিদফতরের পরিপত্রানুযায়ী ২৪ জনকে রদবদল করা হয়েছে। আশাকরি, জনগণ সরকারের স্বাস্থ্যসেবার সুফল ভোগ করতে পারবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন