গ্রাহকের অজান্তেই দেড় কোটি টাকার আলু বিক্রি করে দিয়েছেন এক কোল্ড স্টোরেজ মালিক। বগুড়ার আফরিন ও ফাতেমা সাইদুর নামে দুটি কোল্ড স্টোরেজের মালিক খলিলুর রহমান ওরফে খলিল হাজি গ্রাহকের ৯ হাজার বস্তা আলু গোপনে বিক্রি করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বাজার মূল্যে ওই পরিমাণ আলুর দাম দেড় কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন প্রতারণার শিকার ব্যবসায়ী সোহরাব হোসেন সরকার।
ভুক্তভোগী সোহরাব হোসেন সরকারের বাড়ি ধুনট উপজেলার চৌকিবাড়ী গ্রামে। তিনি একজন মৌসুমি ব্যবসায়ী। বগুড়ায় আলু রাখার জন্য কোল্ড স্টোরেজের খোঁজ নিতে আসলে তার সাথে পরিচয় হয় খলিলুর রহমান। খলিলুর রহমান নিজেকে হাজি পরিচয় দিয়ে সখ্যতা স্থাপন করেন তার সাথে। ফলে প্ররোচিত হয়ে তিনি খলিল হাজির মালিকানাধীন নিউ আফরিন ও ফাতেমা সাইদুর নামের দুটি কোল্ড স্টোরেজে ফেব্রæয়ারি মাসে ২৪ হাজার বস্তা আলু রাখেন।
গত কিছুদিন আগে খোঁজ নিতে এসে দেখেন তার মজুদের ৯ হাজার বস্তা আলু না জানিয়ে বিক্রি করে দিয়েছেন খলিল। বিষয়টি খলিল হাজিকে জানালে তিনি ম্যানেজারের ওপর দোষ চাপিয়ে নানান তাল বাহানা করতে থাকেন। বাধ্য হয়ে তিনি বিষয়টি শাজাহানপুর থানায় জানান। তবে তিনি তার মজুদ আলু বা আলুর মুল্য পাবেন কি না তানিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
সোহরাব হোসেন সরকার আরো জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছেন খলিল হাজি তারএক সাংবাদিক বন্ধুর ভয় দেখিয়ে তিনি গ্রাহকদের সাথে এধরণের প্রতারণা করেই চলেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শাজাহানপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোহরাব হোসেন সরকারের অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। অপরদিকে কোল্ড স্টোরেজের মালিক খলিলুর রহমান ওরফে খলিল হাজির সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত। ম্যানেজারের ভুলে এসব ঘটেছে। গ্রাহকের আলুর টাকা পরিশোধ করে দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন