বান্দরবান পাবর্ত্য জেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) গত ২ বছরে ৩০০ কোটি টাকার উন্নয়ন করেছে। দুর্গম পাহাড়ে অবাধে যাতায়াতের লক্ষ্যে সড়ক, ব্রিজ, কালবার্ট, প্রাতিষ্ঠানিক ভবন সহ প্রতিটি সেক্টরে অভূতপূর্ব উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এসব উন্নয়নের ফলে বান্দরবান জেলা সদরের সাথে দূর্গম উপজেলা সমূহ, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড এমনকি পাড়ার সাথে অনয়াসে যোগাযোগের পথ সুগম হয়েছে।
বান্দরবান জেলার প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ নজর থাকা, পাহাড়ের স্বপ্ন দ্রষ্টা, বান্দরবনের আপমর জনসাধরণের নয়নমনি পিছিয়ে পড়া বান্দরবান জেলাকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাওয়ার কারিগর, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপির সুনিপণ নেতৃত্বে প্রতিটি উন্নয়নে ডিও লেটারের মাধ্যমে অবহেলিত বান্দরবানে অভাবনীয় দৃশ্যমান টেকসই উন্নয়ন হচ্ছে। এসব অভূতপূর্ব উন্নয়ন প্রাক্কলনে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুরকে সার্বক্ষনিক টেকনিক্যাল, লজিস্টিক, গানিতিক ও সুপরিকল্পিত রোড ম্যাপ তৈরিতে সর্বদা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন, বান্দরবন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুস সাদাত মোঃ জিল্লুর রহমান ও সিনিয়র সহকারি প্রকৌশলী জামাল উদ্দীন সহ তাদের পরিচালিত দক্ষ টিমের সদস্যরা।
এ প্রতিবেদক এলজিইডির চলমান ও বাস্তবায়িত উন্নয়ন প্রকল্প সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখা যায়, বান্দরবান এলজিইডি কর্তৃক সি.এইচ.টি.আর.ডি.পি (এডিপি) এবং ডি.ডি.আর.পি প্রকল্প থেকে সদর উপজেলার হলুদিয়া ভাগ্যকুল টংকাবতী ব্রিক ফিল্ড বাজার হয়ে চিম্বুক পর্যন্ত দূর্গম ২৩ কিলোমিটার কাাঁচা সড়ক পাকা হাওয়ার কারণে এতদ অঞ্চলে জনগণের যোগাযোগ ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। রাস্তাটি বান্দরবন কেরাণীহাট সড়কে হলুদিয়া থেকে শুরু হয়ে পর্যটন স্পট প্রান্তিকলেক পর্যন্ত ১৮ ফুট প্রস্থ হয়ে কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। একদিকে চিম্বুক, অপরদিকে টংকাবতী হয়ে লামা উপজেলার সাথে সংযোগ স্থাপন হয়েছে। অত্র এলাকার বিশাল জনগোষ্ঠী তাদের কৃষিজাত পণ্য চট্টগাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বল্প খরচে পরিবহন করতে পারছে। এ সড়কের পাশে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে চরম্বা দিঘীর কোন থেকে টংকাবতী হাতির ডেরা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার পাকা সড়ক টেন্ডার হয়ে টিকাদারকে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। যা শিঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন, বান্দরবান এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জিল্লুর রহমান।
এছাড়া বান্দরবান শহরের কালাঘাটা-বড়ূয়ার টেক রাস্তা, বালাঘাটা-মুসলিম পাড়া বিক্রিছড়া সড়কে বর্তমানে ব্রিজের কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষার পর রাস্তার কাজ শুরু হবে। কালাঘাটা তারাছা সড়ক, রুমা উপজেলার রুমা-মুন্নাম পাড়া সড়ক, রুমা পলিকা পাড়া হয়ে গ্যালেং গা সড়ক। এই ভাবে বিশাল পশ্চাদপদ জনগোষ্ঠীকে দ্রæত সড়ক নেটওয়ার্কের আওতায় এলে তাদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন সাধিত হবে। এলাকার অংসানু মার্মা জানান, এলজিইডির বদলতে আমরা পাকা সড়ক ও ব্রিজ দেখতে পেয়েছি। এর আগে বর্ষা মৌসুমে এ সব পাহাড়ি সড়কে যাতায়তে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হত। এজন্য আমরা বান্দরবান এলজিইডিইর নিকট কৃতজ্ঞ।
উল্লেখ্য যে, গত ২ বছরে বান্দরবান এলজিইডির মাধ্যমে প্রায় ৩০০ (তিনশত) কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়িত হয়েছে। সড়ক ও সেতু গুলো নি¤œরূপ। বান্দরবান সদর উপজেলায় ২২০ মিঃ দৈর্ঘ্য সাংগু নদীর উপর রেইচা-গোয়ালিয়াখোলা ব্রিজ, সুয়ালক-সুলতান পুর সড়ক, চেমিডলু-চেমিমুখ সড়ক, উদালবনিয়া-ঝংকা সড়ক। রোয়াংছড়ি উপজেলাধীন রোয়াংছড়ি-ঘেরাও সড়ক, রোয়াংছড়ি-ব্যাঙ্গছড়ি সড়ক, কালাঘাটা-তারাছা সড়ক, রুমা বি.সি-ম্যাওফাপাড়া ভায়া তারাছা ইউপি সড়ক। রুমা উপজেলাধীন মুন্নাম পাড়া সড়ক, বটতলি আর.এন্ড এইচ রিঝুক ঝর্ণা সড়ক। থানছি উপজেলাধীন থানছি-বলিপাড়া সড়ক। লামা উপজেলাধীন বানিয়া ছড়া- গজালিয়া সড়ক, লামা-রুপসি পাড়া সড়ক, সাংগু রাজাপাড়া সড়ক। নাইক্ষংছড়ি উপজেলাধীন ঈদগড়-বাইশারী সড়ক, ঈদগড় বাজার-আলেক্ষং সড়ক, বাইশারী দৌছড়ি সড়ক, নাইক্ষংছড়ি-তুমব্রæ সড়ক, বিটিভি রিলে ষ্টেশন-ঘুনধুম বাজার সড়ক, নাইক্ষংছড়ি-দৌছড়ি-আলীকদম সড়ক, দৌছড়ি-পাইনছড়ি সড়ক, ঈদগড় জি.সি কাগোজি খোলা সড়ক এবং রেজু আমতলী-কুতুপালং সড়ক সমূহ উল্লেখযোগ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন