শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোমায় থাকা ক্যাপ্টেন নওশাদ আর নেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৩:৪৪ পিএম

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউম মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কোমায় ছিলেন। সোমবার (৩০ আগস্ট) নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে কিংসওয়ে হাসপাতালের একটি সূত্র আমাকে ফোনে ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বেলা ১১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া চলছে।’
গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির এই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। ওইদিন মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২ দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে গত রোববার তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে এবার জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটিই প্রথম নয়, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে আরেকটি দুর্ঘটনার হাত থেকে ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।
২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাবেল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
ম নাছিরউদ্দীন শাহ ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৪:০৫ পিএম says : 0
ইন্নালিল্লাহ ওয়াইন্না"""রাজেউন। এক বীরযুদ্ধা অকুতোভয় সাহসী সৈনিকের মৃত্যু। নিজের জীবনের বিনিময়ে মৃত্যুর মাঝে থেকেও দায়িত্ব কর্তব্য পালনে শতভাগ ছিলেন। গর্বিত মায়ের সন্তান ক‍্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম কে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মাননা জানানো উচিৎ। হে মহান গর্বিত বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান বাংলাদেশের লক্ষ কোটি মানুষের দোয়া শ্রদ্ধাঞ্জলি শ্রদ্ধাবোধ আপনাকে। আল্লাহ্ আপনাকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুক। আমিন আমিন।
Total Reply(0)
Md Rejaul Karim ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৪:৫৮ পিএম says : 0
ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাহি রাজিউন!!! আমি তার আত্নার মাগফেরাত কামনা করচ্ছি!!!
Total Reply(0)
মোঃ আকতার হোসেন মীর ৩০ আগস্ট, ২০২১, ৭:৫৬ পিএম says : 0
আললাহ ওনাকে যেন উওম প্রতিদান দেয় সেই দোয়া করি ।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন