স্টাফ রিপোর্টার : গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনের দখলে থাকা অবৈধ অংশ নিজ উদ্যোগে ভাঙতে এক মাসের সময় চেয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উত্তর সিটি কর্পোরেশন সূত্রে আরও জানা যায়, হোটেল ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষ গত সপ্তাহে ডিএনসিসি মেয়রের কাছে সময়ের আবেদন করে। পরে মেয়র ওয়েস্টিন কর্তৃপক্ষকে নিজ দায়িত্বে অবৈধ অংশ ভাঙার শর্তে সময় দিয়েছেন।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের শক্ত অবস্থানের প্রেক্ষিতে ডিএনসিসি’র প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ আনোয়ারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নানা সাহসি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে গুলশান, বনানী, বারিধারায় অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে তাদের দখলে থাকা অবৈধ অংশ ভাঙা শুরু করেছে।
এর অংশ হিসেবে হোটেল কোর্টইয়ার্ড ম্যারিয়টের ৭ ফুট চওড়া ও ২০০ ফুট দীর্ঘ ফুটপাথ অবমুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। ৭১ নম্বর রোর্ডের ওপর পাকিস্তান অ্যাম্বাসির নিয়ন্ত্রণে ৫ ফুট চওড়া একটি বøক ছিল। ওই বøক সরানো হয়েছে। দখলমুক্ত হয়েছে পুরো ফুটপাথ। ওই রোডের ওপর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ কয়েকটি গাছও সরানো হয়েছে। ফলে বর্তমানে রাস্তা ও ফুটপাথ অনেক প্রশস্ত হয়েছে।
অবৈধ অংশ ভাঙতে সময় চেয়েছে ওয়েস্টিন সূত্র মতে, গুলশানের ৫৫ নম্বর রোডে আমেরিকান রাষ্ট্রদূতের বাসভবনের বিশেষ নিরাপত্তার নামে নিজস্ব সিসি বøক তৈরির মাধ্যমে প্রায় ৬ ফুট চওড়া এবং ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য রাস্তা দখলে রাখা হয়। মেয়রের নির্দেশে ডিএনসিসি কর্মকর্তারা বিষয়টি নিয়ে আমেরিকান দূতাবাস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ওই রাস্তা ও ফুটপাথে লোকজনের চলাচলের স্বার্থে তারা (দূতাবাস কর্মকর্তারা) নিজেরাই ওই বøক সরিয়ে নিতে রাজি হন। এদিকে, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজবাউল ইসলাম বলেন, মেয়র আনিসুল হকের নির্দেশে গুলশান, বনানী ও বারিধারা এলাকায় রাস্তা, ফুটপাথ ও ড্রেন নির্মাণ এবং উন্নয়ন কাজ চলছে। আর এই কাজের স্বার্থে প্রভাবশালীদের দখলে থাকা রাস্তা ও ফুটপাথ অবমুক্তে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে শতাধিক ভবনের অবৈধ অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। একই সঙ্গে রাস্তার ওপর থেকে বিদ্যুতের খুঁটিও সরানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, গুলশান, বনানী ও বারিধারার ভবন মালিকরা নিজেরাই তাদের অবৈধ অংশ ছেড়ে দিচ্ছেন। মেয়র পুরো গুলশানের চেহারা পাল্টে দিচ্ছেন। ডিএনসিসির রাস্তা, ফুটপাথ আর দখল করে রাখার সুযোগ নেই। রাস্তা ও ফুটপাথের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি রাস্তা এবং ফুটপাথ চওড়া হচ্ছে। ফলে এলাকাবাসী এখন অনেক খুশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন