সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ২৮ দিন ধরে ভর্তি রয়েছেন কালিগঞ্জ উপজেলার গড়িয়ামহলের ওয়াজেদ গাইনের ছেলে আবু মুছা। ভাঙা পা নিয়ে সুচিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। গত ২৮ দিনে একাধিকবার এক্স-রে প্রয়োজন হলেও তিনি সদর হাসপাতাল থেকে একবারও করাতে পারেননি। ভাঙা পা নিয়েই তাকে এক্স-রে করতে বার বার যেতে হয়েছে হাসপাতালের বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এ অভিযোগ শুধু আবু মুছার একারই নয়, হাসপাতালে ভর্তি কালিগঞ্জের আবু বক্কার, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘুড্ডেরডাঙ্গীর শেখ আব্দুর রশিদ ও ফারুক হোসেনও জানিয়েছেন একই কথা। তারা জানান, হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগে গেলে বলা হচ্ছে, ফিল্ম নেই।
জানা গেছে, গত ১ জুলাই থেকে ফিল্ম সংকটের কথা বলে হাসপাতালের এক্স-রে বিভাগ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে এক্স-রে বিভাগের খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। গত ২ বছর ধরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিনটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। রোগীদের অভিযোগ, করোনাকালে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে সিটি স্ক্যান অন্যতম প্রধান। মূলত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিটি স্ক্যান মেশিনটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। ফলে সাধারণ মানুষকে হাসপাতালের বাইরের বেসরকারি হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চার থেকে ছয় হাজার টাকা দিয়ে সিটি স্ক্যান করতে হচ্ছে। যেখানে সদর হাসপাতালেই মাত্র দুই হাজার টাকা খরচ করে সিটি স্ক্যান করা সম্ভব ছিল।
দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিনটি বন্ধ থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির তা নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়েত বলেন, এক্স-রে বিভাগে ফিল্ম শেষ হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা জানিয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। আর সিটি স্ক্যান মেশিন কারিগরি সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন