শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অর্থনীতিতে অবদান রাখছে বগুড়ার ঝাল মরিচ

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩১ আগস্ট, ২০২১, ১২:০০ এএম

বগুড়ার বিখ্যাত লাল ঝাল মরিচ এখন স্থানীয় কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে। কেবল শীতকালীন রবি মৌসুমেই এ জেলায় উৎপাদন হচ্ছে ৮০০ কোটি টাকার শুকনো লাল মরিচ।
দামের দিক দিয়ে শুকনো মরিচের দাম মণ প্রতি ৪ থেকে ৬ হাজার টাকায় ওঠে। মূলত রবি মৌসুমেই শুকনো মরিচ উৎপাদন হয় বলে বন্যার ক্ষতি থেকে রেহাই পায় মরিচ চাষিরা।
বগুড়ার কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী শীতকালীন রবি মৌসুমে বগুড়ায় ৭ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে মরিচের চাষ হয়। মোটামুটি পরিস্থিতি অনুক‚ল থাকলে গড়ে ১৭ হাজার মেট্রিক টন শুকনো লাল মরিচ উৎপাদন হয়। ওই পরিমাণ মরিচের বাজার মূল্য দাঁড়ায় ৮০০ কোটি টাকা। এছাড়া খরিফ মৌসুমেও এখন কাঁচা মরিচের চাষ হয়। চলতি বছরে বগুড়ায় ১২ উপজেলায় ৭০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগের ধারণা মতে প্রায় দেড় হাজার মেট্রিক টন কাঁচা মরিচের উৎপাদন হবে। বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার মরিচ চাষি জামাল হোসেন বলেন, আগত শুধু সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলি ও ধুনট উপজেলায় হতো মরিচের আবাদ। এখন শেরপুর, শাজাহানপুর,নন্দীগ্রাম ও বগুড়া সদরেই হচ্ছে মরিচের চাষ। রাজাবাজার কাঁচামালের আড়তদার পরিমল কুমার জানালেন, মরিচের চাষাবাদ যত বাড়বে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ কমে আসবে
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত শ্রাবণ মাসে বগুড়ায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে ২০০ টাকায় ওঠে। ফলে ভারত থেকে কাঁচা মরিচের চালান আনতে হয়।
এর ফলে দাম কমে আসে। চলতি ভাদ্র মাসেই মাঝামাঝি সময় থেকে বগুড়ার ক্ষেতের মরিচ বাজারে আসতে শুরু করবে। এতে করে শুধু বগুড়া নয় সারাদেশেই মরিচের বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার কাঁচামালের পাইকারি আড়তদারগণ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন