শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

বরখাস্তকৃত সুপারের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৫ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার :মিরপুরে মসজিদুল আকবার ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার চূড়ান্ত বরখাস্তকৃত সুপার মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, অবৈধভাবে সরকারি বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ, চেকজালিয়াতি, মাদরাসার অর্থআত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান বরখাস্তকৃত সুপারের বিরুদ্ধে গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন অফিসে অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে জানা যায়, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন দীর্ঘ চার বছর প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলে মাদরাসার সাবেক ম্যানেজিং কমিটি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকাসহ বিগত দিনে দায়িত্ব পালনকালে অর্থ আত্মসাৎ, চেক জালিয়াতি, প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামী থাকায় ম্যানেজিং কমিটি তা তদন্ত করে তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করে অনুমোদনের জন্য মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের আপিল আরবিট্রেশনে প্রেরণ করে। মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড এ আপিল আবেদন গ্রহণ করে গত ১৫ মে চূড়ান্ত বরখাস্ত অনুমোদন করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে গত ৯ আগস্ট তা জানিয়ে দেয়। কিন্তু তিনি দীর্ঘদিন ধরে সাময়িক বরখাস্ত থাকলেও এমনকি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড তাকে চূড়ান্ত বরখাস্ত করলেও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শেখ আব্দুল মান্নানকে ম্যানেজ করে পরোপুরি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। এমনকি তিনি সাময়িক বরখাস্ত থাকা অবস্থায় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে ম্যানেজ করে নিয়মবহির্ভূত প্রতিষ্ঠানে ৪ জন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান অভিযোগ করেছেন। এমনকি একজন সহকারী মৌলভী পদে শুধুমাত্র মহিলা প্রার্থী আবেদন করতে পারবে বলে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে সে পদে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে হাফিজুর রহমান নামক একজন পুরুষ শিক্ষককে নিয়োগ দিয়েছেন বলে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মজিবুর রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তিনি বর্তমানে সুপার না থাকলেও শেখ আব্দুল মান্নানের ক্ষমতা দেখিয়ে স্বপদে বহাল থেকে মাদরাসার সকল আয় আত্মসাৎ করছেন। অভিযোগের ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার নাজমা বেগমকে প্রশ্ন করলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চূড়ান্ত বরখাস্ত আদেশ হাতে পেয়েছি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগটিও পেয়েছি। তদন্ত করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এব্যাপারে মাদরাসার বরখাস্তকৃত সুপার দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমি এখনও সুপার আছি। বোর্ড আমাকে বরখাস্ত করতে পারে না।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন