স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর মুগদায় বহুতল ভবনের একটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার লাশের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখন পুলিশের হাতে আসেনি। অথচ পুলিশ বলছে গৃহবধূ দুলারী হাসান আশা (৩২) আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ জানায়, গৃহবধূ আশা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। ঘটনার সময় তিনি একাই বাসায় ছিলেন। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন, তা এখন তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে মুগদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এনামুল হক বলেন, ‘ফ্ল্যাটে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না বেঁধে গলায় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন আশা। ওড়নার ফাঁস কেটে তার লাশ নিচে নামানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, টি টেবিলের ওপর দাঁড়িয়ে তিনি ফাঁস দেন। তিনি ঝুলে পড়লে টেবিলটি কাঁত হয়ে পড়ে যায়। একই সঙ্গে ফ্ল্যাটের দরজার ওপরে ও নিচে ছিটকিনি লাগানো ছিল। এ থেকেও প্রায় নিশ্চিত হওয়া গেছে ফাঁস দেয়ার সময় তিনি একাই ছিলেন। এ ছাড়া ১০ দিন আগে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন দুলারী। সে সময় তাকে স্থানীয় ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে আর্থিক, সাংসারিক ও নানা কারণে তিনি সম্ভবত মানসিক বিষাদ ও হাতাশাগ্রস্ত ছিলেন। এ কারণেও তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তারপরও আত্মহত্যার আসল কারণ বের করার জন্য তদন্ত চলছে।
থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুলারীর দুই সন্তান আজদম হাসান (১০) ও মেয়ে নিমাদ্রী হাসান (৪) তাদের নানা-নানির বাসায় ছিল। দুলারীর স্বামী মো. নান্নু ইতালি প্রবাসী।
প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে উত্তর মুগদার বাসা থেকে দুলারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন