এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ঢাকা ওয়াসার মিরপুর-১ কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীর নামে নিয়মিত মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। কার্যালয়ের ভেতরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও বিভিন্ন স্থানে লার্ভা পাওয়ায় তিনি এই মামলার নির্দেশনা দেন। গতকাল শনিবার মশক নিধনে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযানে গিয়ে ওয়াসার ওই কার্যালয়ে এমন পরিবেশের চিত্র পাওয়া যায়।

এ সময় মেয়র আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, ওয়াসার মতো একটি প্রতিষ্ঠানের আঞ্চলিক অফিসের ভেতরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং বিভিন্ন জায়গায় অসংখ্য লার্ভা দৃশ্যমান থাকায় এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইকবাল আহমেদ মজুমদারের নামে নিয়মিত মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ব্যক্তিগত, সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোনো ভবনেই এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। জরিমানাসহ প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, মেয়র বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে এডিস মশা ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় ওয়াক-আপ উচ্চ বিদ্যালয়ে জনসচেতনতামূলক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আতিক বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়ার আগেই সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিষ্কার-পরিছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। কারও একার পক্ষেই এডিস মশা দূর করা সম্ভব নয়, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের ঘরবাড়ি ও আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এর আগে মো. আতিকুল ইসলাম এডিস মশা ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণকল্পে দক্ষিণ বিশিল আদর্শ বিদ্যা নিকেতনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বলেন, বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে ডেঙ্গুতে যাতে কারও মৃত্যু না হয় সেজন্যই পরিষ্কার-পরিছন্নতার মাধ্যমে সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে সফল করতে হবে। নিজেদের বাসাবাড়ি কিংবা অফিস কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সুস্থতার জন্য চলমান সামাজিক আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে একাধিক বাসাবাড়ি পরিদর্শনকালে ডিএনসিসি মেয়রের উপস্থিতিতে মিরপুর-১ এর দক্ষিণ বিশিল ৪ নম্বর রোড এলাকায় ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং সামগ্রীগুলো ৬ হাজার ১৮০ টাকায় স্পট নিলাম করা হয়। মেয়রের নির্দেশনা ও স্থানীয় জনগণের সহায়তায় ফুটপাত ও রাস্থা দখল করে রাখা লৌহনির্মিত বিভিন্ন সামগ্রী বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে উচ্ছেদ করা হয়।