মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

অসামাজিক কাজে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের চর গয়েশপুর গ্রামের সিরাজ ফকিরের ছেলে আক্কাস ফকির (৪২) তার মছলন্দপুরের বাড়িতে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে বৃষ্টি নামে কুষ্টিয়ার এক ভাসমান পতিতা নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের সময় এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়ে এবং সকালবেলা পতিতাসহ তাদের দুইজনকে মধুখালী থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়। মধুখালী থানা পুলিশ এ ব্যাপাওে দ-বিধি ২৯০ ধারায় একটি মামলা দিয়ে ফরিদপুর আদালতে প্রেরণ করেছে।
উল্লেখ্য, চর গয়েশপুর গ্রামের যুবক আক্কাস ফকির বেশ কয়েক বছর ধরে কামারখালী ইউনিয়ন পরিষদের পাশে মছলন্দপুর গ্রামে নতুন বাড়ী করে বসবাস করছেন। ঘটনার দিন কুষ্টিয়া থেকে ফোনের মাধ্যমে মঈ ভাসমান পতিতাকে এনে আনন্দ ফুর্তিতে লিপ্ত ছিল। গভীর রাতে এলাকার কিছু যুবক টের পেয়ে তার বাড়ি থেকে পতিতাসহ আক্কাসকে আটক করে। রাতে কামারখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহিদুর রহমান বাবু নিজ হেফাজতে রেখে সকালে মধুখালী থানা পুলিশে সোপর্দ করে। এ ব্যাপারে কামারখালী ইউপিঃ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। আক্কাসের স্ত্রী জলি বেগম জানান, গত মঙ্গলবার আক্কাস আমাকে বাপের বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে এই কাজটি করেছে। কয়েকজন এলাকাবাসীর সাথে কথা বললে তারা জানান আক্কাস প্রায়ই তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়েকে শ্বশুর বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে বাইরে থেকে ভাড়া করা মেয়ে এনে এ ধরনের অসামাজিক কার্যকলাপ করে থাকে। উল্লেখ্য, আক্কাস ফকির কামারখালী বাজারের একজন কাঁচামাল ব্যবসাী, প্রত্যক্ষদর্শী আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা আমানত হোসেন জানান এই কার্যকলাপের সাথে একই মহল্লার হাজি হাবিবুর বিশ্বাসের সউদি প্রবাসী ছেলে  হুসাইন জড়িত। এলাকায় খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় হুসাইন এই সকল অপকর্মের অর্থদাতা হিসেবে কাজ করে থাকে। এ ব্যপারে মধুখালী থানার সেকেন্ড অফিসার মোঃ মামুন বিশ্বাসের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, অসামাজিক কার্যকলাপের সময় এলাকাবাসী আক্কাস ও একজন মধ্যবয়সী মহিলাকে ধরে থানায় সোপর্দ করেছে। মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন