স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা থেকে : নিজেকে আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে পুলিশের সামনেই প্রকাশ্যে ঘুরছে শাহ ইমরান মজুমদার নামের এক ব্যক্তি। সে কুমিল্লা ইপিজেডের এক মহিলা শ্রমিকের দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলার আসামি। সে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উজেলার মধ্যম আশ্রাফপুর বাসিন্দা মৃত আবদুল সোবহানের ছেলে । থানায় মামলা হওয়ার পর শাহ ইমরান ওই মহিলা শ্রমিককে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিতে থাকে। ইমরানের হুমকিতে নাসরিন নামের ওই মহিলা তার কর্মস্থলে আসতে পারছেনা। অথচ আসামী হয়েও ইমরান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মেহার গ্রামের ইপিজেড শ্রমিক নাসরিন জানায়, কুমিল্লা ইপিজেডের নাসা গ্রুপে তার নতুন চাকরি হওয়ায় সে তার কর্মস্থলের কাছাকাছি থাকার জন্য বাড়ি ভাড়ার নেয়ার জন্য গত ৫ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা নগরীর মধ্যম আশ্রাপপুরে ইমরান টাওয়ার নামের একটি চারতলা ভবনে ‘বাড়ি ভাড়া দেওয়া হবে’ লিখা দেখে ওই ভবনে যায়। ভবন মালিক ইমরান ঘর ভাড়ার ব্যাপারে পরদিন খুব সকালে আসার জন্য বলে। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর ওই মহিলা সকাল অনুমান সাড়ে ৬টায় ইমরানের বাড়িতে আসে। তখন ইমরান তাকে রুম দেখানোর জন্য দ্বিতীয় তলায় তার ড্রইং রুমে নিয়ে বসায়। তারপর পাশের একটি কক্ষ থেকে এসে ইমরান জানায় তার স্ত্রী ভাড়া দেয়া রুমের চাবিসহ বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে গেছে। এ কথা বলার পরপরই ইমরান ড্রইং রুমের দরজা লক করে ওই মহিলার ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। জোরপূর্বক ধষর্নের চেষ্টা চালায়।
এঘটনার বিষয়ে ওই মহিলা সদর দক্ষিণ থানায় গেলে পুলিশ মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে ৭ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করলে বিচারক অভিযোগটি আমলে নেয় এবং ঘটনাটি এফআইআর হিসেবে গণ্য করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করার জন্য সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম পিপিএম ওই ধারায় মামলাটি রুজু করেন।
এদিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি মামলা হিসেবে থানায় রুজু হওয়ার খবর জানতে পেরে ইমরান নিজেকে আ.লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সে ওই মহিলার বাড়ির খোঁজ নিয়ে তাকে হুমকি দেয়। এমনকি মামলা না তুললে ওই মহিলাকে তার কর্মস্থল এবং থানা ও আদালত এলাকায় আসলে অপহরণেরও হুমকি দেয়। হুমকির ভয়ে ওই মহিলা তার কর্মস্থলে আসতে পারছে না। কিন্তু ওই মামলার আসামি ইমরান প্রকাশ্যে ঘুরছে। তাকে গ্রেফতার করে ন্যায়বিচার পাবার জন্য ওই মহিলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন