শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আউশের ফলনে কৃষকরা খুশি

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

নাঙ্গলকোটে ফসলের মাঠে শুরু হয়েছে আউশ ধান কাটা ও মাড়াই উৎসব। চলতি মৌসুমে আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাল ফলনের পাশাপাশি ধানের দামও ভাল পেয়ে খুশি এ অঞ্চলের কৃষকরা। আগামীতে তারা আরও বেশি জমিতে আউশ চাষ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। কৃষকরা বলছেন, অনুক‚ল আবহাওয়ায় আউশ ধানের এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। যা মধ্য ভাদ্র পেরিয়ে অভাব অনটন ও দারিদ্র্য হ্রাসের ক্ষেত্রে এই আউশ ধান কৃষক পরিবারের কাছে আশীর্বাদ। পাশাপাশি আসছে আশ্বিন মাসে কৃষকরা ঘরে তুলবেন অভাব মোকাবেলার আগাম আমন ধান।

সরেজমিনে দেখা যায়, এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন হওয়ায় আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। কৃষকরা উন্নত আউশ জাতের ব্রি. ধান-৪৮ চাষ করে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ফলন পেয়েছেন। উপজেলা সদরের বান্নাঘর গ্রামের কৃষক তোয়াব আলী জানান, আগে আমরা স্থানীয় জাতের বীজ আবাদ করতাম। এ জাতের আউশ ধানের ফলন খুবই কম হওয়ায় কৃষকরা আউশ ধান আবাদে দিনে দিনে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা ব্রি ৪৮ জাতের বীজ ব্যবহার করে চলতি মৌসুমে আউশের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা আগামীতে ব্যাপকভাবে উৎসাহিত হয়েছে। যদিও চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে আউশের আবাদে মনোযোগী হয় কৃষক।

হানগড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ বলেন, ব্রি-৪৮ আউশ ধান চাষ করে কৃষকরা বাড়তি আয়ের সুযোগ পেল। রোরো ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষকরা আউশ ধান রোপণ করেন। মাত্র একশ’ দিনেই আউশ ধান কৃষকদের ঘরে আসে। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গেই একই জমিতে কেউ চলতি আমনের চারা রোপণ করেছে কেউ আগাম আলু চাষের জমি তৈরি করে রেখেছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি আগামী আলুর বীজ রোপণ করা হবে। দ্উাদপুর, ধাতিশ্বর পাটোয়ার চৌগুরী, মাঝিপাড়া গোত্রশালসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে দেখা যায় কৃষকরা আউশ ধান কাটা মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষক ভুট্টু মিয়া তার দুই বিঘা জমির ধান কাটা শুরু করেছেন। তিনি বলেন, এবার দুইবিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহিদুল হাসান বলেন, কয়েক বছরের তুলনায় এ উপজেলায় আউশ ধানের চাষাবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের মাঠ দিবস, উঠান বৈঠক, প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। এতে সেচ নির্ভর বোরো আবাদের পর তারা বৃষ্টির পানিতে আউশ আবাদ করেছে। যে সময়টা জমি পতিত থাকত। ফলে আউশের ফলন ভাল হয়েছে। পাশাপাশি ধানের দাম থাকায় এবং বেশি দামে খড় বিক্রির কারণে কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে আউশের আবাদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন