শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

রামেক হাসপাতালে অপ্রীতিকর ঘটনা

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রাজশাহী ব্যুরো : দুজনেই ছাত্রলীগ নেতা। কেউ কারো চেয়ে কমনয়। এমন মনোভাব দেখানোর জের ধরে ভোগান্তির শিকার হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী আর তার স্বজনরা। গত মঙ্গলবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থীকে দেখতে আসেন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলামসহ তার সহপাঠি সাত আটজন ছাত্র। এসময় ওয়ার্ডের দায়িত্বে ছিলেন ইন্টার্নী চিকিৎসক মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম অপু। একসাথে কয়েকজন রোগীর পাশে ভিড় করায় তিনি তাদের বাইরে চলে যেতে বলেন। এ নিয়ে কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মনিরুলের সাথে বাকবিত-া হয়। দু’জনেই বলে তারা ছাত্রলীগ নেতা। বাকবিত-ার এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। প্রতিবাদে ইন্টার্নী চিকিৎসকরা ঘন্টাব্যাপি কর্মবিরতি পালন করে হামলাকারীদের গ্রেফতারের বিচার দাবিতে হাসপাতাল পরিচালকের দপ্তরে জড়ো হয়। পরে পরিচালকের আশ্বাসের ভিত্তিতে ফের কাজে যোগ দেয়। এদিকে ঘটনার পর কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা হাসপাতাল গেটে তালা লাগিয়ে দেয়। পরে রোগীর অভিভাবকদের চাপের মুখে তালা খুলে দেয়া হয়। এর আগে সকাল ৮ দিকে রামেকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাটোরের গুরুদাসপুরের সোলেমান (৬০) মারা যায়। এরপর ভুল চিকিৎসায় ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন রোগীর স্বজনরা। পরে ইন্টার্নী ডাক্তার সুকান্তের সঙ্গে রোগীর স্বজন মামুনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ইন্টার্নী চিকিৎসকরা কিছুক্ষণের জন্যে চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। তবে পরে আবার পুরোদমে চলে। দুটি ঘটনার পর থেকে হাসপাতালে অবাধে রোগীর স্বজন প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। একজন রোগীর জন্য একটি করে পাশ দিয়ে হাসপাতালের অভ্যান্তরে প্রবেশ করার পুরনো সেই নিয়ম চালু করে কর্তৃপক্ষ। হঠাৎ করে এই ব্যবস্থা চালু করায় ভোগান্তিতে পড়েন রোগীর স্বজন ও রোগীরা।


 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন