ইমরান খান। আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবিক কর্মকান্ডে অব্যাহতভাবে সমর্থন দেবে পাকিস্তান। জাতিসংঘের মহাপরিচালক অ্যান্তনিও গুতেরেসকে এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে এই নিশ্চয়তা দেন ইমরান খান।
গতকাল এই সংলাপের বিষয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। তাতে বলা হয়েছে, জাতিসংঘকে আফগানিস্তানে মানবিক মিশনে মসৃণভাবে কর্মকান্ড চালাতে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতার কথা পুনরায় নিশ্চিত করেছেন ইমরান খান। এতে আরো বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে তালেবান শাসন নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ রয়েছে। উদ্বেগ আছে, দেশটিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার ক্ষেত্রে নিরাপদ পরিবেশ নিয়ে। গত ১৫ই আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবানরা। এর আগেই বিশ্বের বেশির ভাগ ত্রাণ সংস্থা তাদের কর্মকান্ড গুটিয়ে নেয় দেশটি থেকে। ফলে আফগানিস্তানে বড় ধরণের মানুবিক সঙ্কট আসন্ন। বেশির ভাগ বড় দাতার সহায়তা স্থগিত করা এবং বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের পেমেন্ট স্থগিত করে রাখার ফলে আফগানিস্তানে অর্থনৈতিক টালমাটাল অনতিক্রম্য হয়ে পড়েছে। যদি তাই ঘটে, তাহলে মানবিক সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠতে পারে।
কিছু কিছু দেশ এরই মধ্যে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তারা আরো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, এসব মানবিক ত্রাণ দেয়া হবে ত্রাণ বিতরণকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে। ফলে এসব ত্রাণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য পরিবেশকে নিরাপদ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগেভাগেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে আফগানিস্তানে শিপমেন্ট পাঠিয়ে সহায়তা করেছে পাকিস্তান। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির একই রকম আয়োজনও কাজ করছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আফগানিস্তানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের জড়িত হওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মানবিক চাহিদা পূরণের এবং অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার।
ইমরান খান বলেছেন, এসব পদক্ষেপ শুধু নিরাপত্তাই নিশ্চিত করবে এমন নয়। একই সঙ্গে আফগানিস্তান থেকে অন্য দেশে গণহারে মানুষের দেশ ছাড়া বন্ধ হবে। এতে শরণার্থী সঙ্কট সমাধান হবে। এখন পর্যন্ত খুব কম আফগানই দেশ ছেড়ে অন্য দেশে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। কিন্তু তাদের ঢল নামার এক আতঙ্ক এখনও বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা বলেছে, বছরের শেষ নাগাদ অন্য দেশে ৫ লাখ আফগান পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারেন।
এ অবস্থায় জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে টেলিফোন সংলাপে আফগানিস্তানে গত ৪০ বছর ধরে নানা রকম যুদ্ধের ইতি টানার একটি সুযোগ এসেছে বলে মত তুলে ধরেন। বলেন, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি, নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হতে পারে। সূত্র : ডন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন