চট্টগ্রাম ব্যুরো : শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে আহলে বায়তে রাসূল (দ.) স্মরণে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে ১০ দিনব্যাপী ৩১তম আন্তর্জাতিক শাহাদাতে কারবালা মাহফিল হাজারো দ্বীনদার জনতার অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে উঠেছে। গত মঙ্গলবার মাহফিলের দ্বিতীয় দিনে সভাপতিত্ব করেন সাতকানিয়া ধর্মপুর দরবারের সাজ্জাদানশীন, পীরে তরিকত মাওলানা আবদুশ শাকুর নকশবন্দি (মজিআ)। প্রধান অতিথি ছিলেন চবি ভিসি প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ইসলামের নামে জঙ্গিপনা, সন্ত্রাস-হানাহানি ও রক্তপাত ঘটিয়ে দুরাচারি ইয়াজিদ ইতিহাসে চিরঘৃণ্য হয়ে আছে। আর নবী বংশের উজ্জ্বল প্রতিনিধি হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) ইসলামের শান্তি ও ইনসাফের পতাকা সমুন্নত রেখে যুগে যুগে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ইয়াজিদ অমানবতা, জুলুম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতীক। আর হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) শান্তি, উদারতা, ন্যায় ও ইনসাফের বাস্তব নমুনা। হোসাইনি ইসলামকে প্রসারিত করে ইয়াজিদি ত্রাসধর্মী তথাকথিত বিকৃত ইসলামকে রুখে দাঁড়ানোর জন্য তিনি আহ্বান জানান।
মাহফিলে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন শাহাদাতে কারবালা মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা শিল্পপতি সূফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ জালালুদ্দিন আলকাদেরী। তিনি বলেন, আল্লাহর প্রেমে ও সন্তুষ্টির জন্য প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গ করতে হবে এটাই শাহাদাতে কারবালার শিক্ষা। হযরত ইব্রাহিম (আ.)’র কুরবানির ঐতিহাসিক ধর্মীয় তাৎপর্য আছে। কিন্তু এর চেয়ে হযরত ইমাম হোসাইনের (রা.) কুরবানি অধিক তাৎপর্যময়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন