শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

প্রতিমা তৈরি করে স্বাবলম্বী শিবগঞ্জের আশিষ

প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : চাকুরী না পেলেও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। নিজের বুদ্ধি দিয়েই বেকারত্ব ঘুচানো যায়। হয়তো কিছুদিন সময় লাগে এবং কষ্ট ভোগ করতে হয়। কথাগুলো বললেনÑ স্নাতক পাস করে শত চেষ্টা করেও টাকা ছাড়াই চাকুরী না হওয়ায় অবশেষে প্রতিমা তৈরী ও অংকন কাজ করেই স্বাবলম্বী হয়েছে আশিষ। আশিষের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নে চৌকা মনাকষা গ্রামে। আশিষের পিতা শশাংক শেখর সিনহা পেশায় একজন দর্জি। বিনোদপুরের আইড়ামারীতে প্রতিমা তৈরীর সময় সরজমিনে কথা হয় আশিষ কুমার সিংহার সাথে। তিনি জানান, গরীব পিতার আয়ে লেখাপড়া করা সম্ভব ছিল না। তাই ছোট থেকে পিতার নিকট থেকেই প্রতিমা তৈরীর প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করে নিজ চেষ্টার ফলে সব ধরণের প্রতিমা তৈরী করতে শিখে ফেলি। জীবনের প্রথম ১৯৯৯ সালে বিনোদপুর ইউনিয়নের আইড়ামারী গ্রামের একটি মন্দিরে প্রতিমা তৈরী করে ২ হাজার ৩শ’ টাকা উপার্জনের পাশাপাশি ব্যাপক সাড়া সৃষ্টি হয় এবং সে বছর  আমি ৭ হাজার টাকা উপার্জন করি। অভাবের সংসারে পিতা লেখাপড়ার খরচ ও ৬ জন সদস্য বিশিষ্ট সংসার চালাতে অক্ষম হওয়ায় আমাকে হাল ধরতে হয় সংসারের। তাই কিছু দিন আমার লেখাপড়া বন্ধ থাকে। ২০০৩ সালে আনক কারিগরি কলেজে ভর্তি হয়ে ২০০৫ সালে এইচএসসি পাশ করি। তারপর আবার কিছুদিন লেখাপড়া বন্ধ রেখে ২০১০ সালে বিনোদপুর স্নাতক মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ২০১২ সালে স্নাতক পাশ করি। এভাবেই প্রতিমা তৈরীর মাধ্যমে আমার উপার্জিত টাকা দিয়ে সংসার চালানোর পাশাপাশি লেখাপড়া করি। তিনি সরকারের সুদৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন- আমাদের তৈরী প্রতিমাগুলি সরকারের মাধ্যমে বিদেশে রপ্তানী করার ব্যবস্থা করলে একদিকে সরকারী রাজস্ব বাড়বে। অন্যদিকে অনেক বেকার যুবক স্বাবলম্বী হতে পারবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন