কুড়িগ্রামে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অপরিবর্তিত রযেছে। ধরলা ও ব্রক্ষপুত্র নদীর পানি কিছুটা কমলেও ধরলা ও তিস্তা অববাহিকায় প্রচন্ড ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনশ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানি বন্দী হয়ে আছে। এক সপ্তাহের বেশী সময় থেকে পানি বন্দী থাকতে থাকতে চরম খাদ্য সংকটে পড়েছে। এসব মানুষ জ্বর ও পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। অনেকের হাত-পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে। আজও ধরলার পানি ব্রীজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধরলা অববাহিকার কিংছিনাই,জয়কুমোর,ও বড়াইবাড়ী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৪০টি ঘর-বাড়ী ধরলার পানির তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে। তবে ব্রক্ষপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপৎ সীমার ৪ সেঃ মিঃ নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যান্য নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। মানুষের দুর্ভোগ এখনও কমেনি। দুর্গত এলাকায় খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও গবাদী পশুর খাদ্য সংকট প্রকট হয়ে উঠছে। বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ও নৌকায় আশ্রয় নেয়া মানুষ গুলো গবাদী পশুর সাথে থেকে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
এ সব মানুষ ত্রাণের আশায় অপেক্ষা করছে । জেলার বন্যা দুর্গত মানুষের পাশে স্থানীয় এজিও,বেসকারী সংস্থা ও রাজনীতিবীদরা কেউই যায়নি এখন। এর মাঝেও বিভিন্ন এনজিওর কিস্তির টাকা তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন