শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের ‘বাংলাদেশ ইয়ুথফেস্ট-২০১৬’ আয়োজনের ঘোষণা

প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ‘দেশের ভবিষ্যৎখ্যাত যুবসমাজকে’ উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম (বিবিএফ) আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথফেস্ট ২০১৬’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক এই যুব উৎসবের প্রতিপাদ্য হলো ‘নলেজ ফর ট্রান্সফরমেশন’ বা ‘রূপান্তরের জন্য জ্ঞান’। ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের মেঘনা হলে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এই যুব উৎসব আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সহযোগিতায় উৎসবটির আয়োজন করা হয়। দেশে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়–য়া যুবাদের উৎসাহ দিতেই বিবিএফ-ডিসিসিআই এ উদ্যোগ নেয়, যাতে তারা নিজেদের বৈশ্বিক বাজারের জন্য নিজেদের তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ হয়। সারা দেশে সাতটি বিভাগের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসিসিআইয়ের সভাপতি হোসেন খালেদ, এডিসন গ্রুপের এজিএম জাহেদুল ইসলাম, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির (এনএসইউ) স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের ডিন এম মাহবুব রহমান পিএইচডি, বিবিএফের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম এবং সজীব গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব হাসিব-বিন-সজীব উপস্থিত ছিলেন।
দেশব্যাপী সাতটি বিভাগে যথাক্রমে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল ও রংপুরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথফেস্ট ২০১৬’। উৎসবে প্রত্যেক বিভাগের কর্মসূচিতেই আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা, সিরিজ বক্তৃতা, নলেজ সেশন বা জ্ঞানের অধিবেশন এবং সেরা বিজনেস ও ডেভেলপমেন্ট প্র্যাকটিসের শোকেস ইত্যাদি থাকবে।
আঞ্চলিক রাউন্ডগুলোতে লেকচার সিরিজ বা সিরিজ বক্তৃতা ও নলেজ সেশনগুলোর মধ্য থেকে দুটিকে বিশেষভাবে হাইলাইট করা হবে। এ ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের সংযোগ ঘটবে। ফলে তারা বিশেষজ্ঞদের সামনে নিজেদের অন্তর্দৃষ্টির চিন্তাশীলতা প্রকাশের সুযোগ পারবে। এছাড়া উৎসবের সাকসেসফুল বিজনেস স্টোরি বা সফল ব্যবসায়িক গল্প এবং ক্রিয়েটিভ ক্যাম্পেইনগুলো ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হবে, যাতে তা অধিকতর জনসম্পৃক্ত হয়ে ওঠে।
এই উৎসবে আঞ্চলিক উন্নয়নের রুপকল্প তৈরি করার লক্ষ্যে শিক্ষার্থী যুবাদের কাছ থেকে প্রতিযোগিতার ভিত্তিতে বিভিন্ন বিষয়ে আইডিয়া জেনারেশন বা ধারণা সৃষ্টি ও সামাজিক ইস্যুগুলোর সমাধানের উপায় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে। যেসব বৃহত্তর বিষয়ে প্রতিযোগিতা হবে তা হলো Ñ সামাজিক সমস্যাসমূহের সমাধান, প্রযুক্তি, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বা ব্যবসায়িক উদ্যোগ, আগামী ২০২৫ সালে আঞ্চলিক অর্থনীতির অবস্থা কেমন হতে পারে এবং কী কী অর্থনীতির চালিকাশক্তি হবে সেগুলো চিহ্নিত করে পেপার প্রেজেন্টেশন বা লিখিত পূর্বাভাস উপস্থাপন। এছাড়া ‘নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক উদ্যোগ’ ক্যাটাগরিটি বিশেষভাবে নেওয়া হয়েছে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে। অংশগ্রহণকারী নারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পাওয়া ব্যবসায়িক ধারণাগুলো থেকে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে। এর পরে তারা যাতে নিজেদের ব্যবসায়িক ধারণাগুলোর আলোকে কোনো ব্যবসা শুরু করতে পারে সে বিষয়ে ডিসিসিআই প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল ‘ডেভেলপিং এ বিজনেস প্ল্যান’ বা ‘নতুন ব্যবসায়িক পরিকল্পনার ধারণা সৃষ্টি’র বিষয়ে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাবে। এই প্রশিক্ষণ দেবে ডিসিসিআই। আঞ্চলিক পর্যায়ের বিজয়ী দলগুলো ঢাকায় ফাইনাল রাউন্ড বা চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে, যা আগামী এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হবে।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) দুই দিন ধরে নলেজ শেয়ারিং বা জ্ঞান বিনিময়, নেটওয়ার্কিং, প্রতিযোগিতা ও অন্যান্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হবে চূড়ান্ত পর্ব। মোট ৪৯টি দল চূড়ান্ত পর্বের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবে। ফাইনালে বা চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ‘স্পাইক এশিয়া’ নামক দক্ষিণ এশিয়ায় সৃজনশীলতার বৃহত্তম উৎসবে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া ধারণাগুলোর যে সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করা হবে তা থেকে কিছু বিষয়ে নির্বাচিত ব্যক্তিদের ডিসিসিআইয়ের ই-টু-কে প্রকল্পের আওতায় সহায়তা দেওয়া হবে। সেই সাথে থাকবে প্রশিক্ষণ ও অর্থায়ন তথা ঋণ প্রাপ্তির সুযোগ।
বিবিএফকে ‘বাংলাদেশ ইয়ূথফেস্ট ২০১৬’ শীর্ষক এই প্রতিযোগিতামূলক উৎসব আয়োজনে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সহায়তায় থাকছে সিম্ফনি। উৎসবের কো-স্পন্সর বা সহ-পৃষ্ঠপোষক হয়েছে সজীব গ্রুপ। উৎসবটি আয়োজনে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি (এনএসইউ) লার্নিং পার্টনার, গাজী টিভি মিডিয়া পার্টনার, ওয়েবেবল সোশ্যাল মিডিয়া পার্টনার হয়েছে। এছাড়া পিআর বা জনসংযোগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে মাস্টহেড পিআর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন