বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধের মাঠে থেকে নেতৃত্ব প্রদান করেন। সরকার ডেঙ্গু মোকাবেলা, অর্থনীতিতে ব্যর্থ হয়ে জিয়ার মাজার প্রসঙ্গে অপ্রাসঙ্গিক বিতর্কের অবতারণা করেছে। আওয়ামী লীগ নিজেরাই প্রতারণা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে চাইছে। জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরানো সরকারের মূল উদ্দ্যেশ্য। গতকাল সোমবার বিকেলে ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জিয়ার লাশ পাওয়ার পর তার পোস্টমর্টেম করা হয়েছে, তার রিপোর্ট জাতিকে দেখানো হয়েছে, এরপর অন্য কোনো বিতর্ক থাকতে পারে না। তিনি সরকারকে পরামর্শ দেন, মাজার কবর লাশ এসব নিয়ে রাজনীতি না করে কিভাবে মরণাপন্ন দেশ ও মানুষকে বাঁচবে সরকারকে এখন সেদিকে নজর দেয়া উচিত।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলগত ভাবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এখনও বিএনপি নেয়নি। নেয়া হলে জানানো হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচন সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের আস্থা একদম চলে গেছে। সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যার্থ হয়েছে সুষ্ঠ অবাধ নির্বাচন করতে। প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য শুনলে মনে হয় তিনি দলের মুখপাত্রের ভূমিকা পালন করছেন। একারণেই দেশে নির্বাচন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন
তিনি আরো বলেন, আমরা অত্যন্ত আশাবাদী তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল সুসংগঠিত হবে এবং আমরা একটা আন্দোলন সৃষ্টি করতে পারবো। যে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা এই স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে জনগণের একটা সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হবে।

তারেক জিয়ার ব্যাপারে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বক্তব্য প্রসঙ্গে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, তিনি (জাফরুল্লাহ চৌধুরী) গণতান্ত্রিক আন্দোলনে একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, তার এ ধরনের মন্তব্য অনভিপ্রেত। তার বয়স হয়েছে, এজন্যই কখনো কখনো এমন মন্তব্য করে বসেন যাতে করে গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিরই লাভ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান ,সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ প্রমুখ।