শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

জাতীয় গ্রিডের পশ্চিম জোনে বিপর্যয় দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলা অন্ধকারে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৮ এএম

জাতীয় গ্রিডের পশ্চিম জোনে গোলযোগের কারণে গত বুধবার রাত ৮টা ৪৫ মিনিট থেকে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের ১১ জেলা অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। এ গোলযোগের কারণে একযোগে বরিশালে সামিট পাওয়ারের ১১০ মেগাওয়াট ও ভেলার ২২৫ মেগাওয়াটের পাওয়ার স্টেশন দুটিসহ পশ্চিম জোনের বেশিরভাগ বিদ্যুৎ উপাদন কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। একই সাথে ভোলা—বরিশাল ২২৫ কেভি, বরিশাল—বাগেরহাট—খুলনা ১৩২ কেভি এবং ভেড়ামাড়া—ফরিদপুর—বরিশাল ডবল সার্কিট ১৩২ কেভি এবং বরিশাল—পটুয়াখালী সিঙ্গেল সার্কিট ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইনও ট্রিপ করে বন্ধ হয়ে যায়।
তবে গোলযোগে পরপরই বিপর্যয় মোকাবেলায় খুলনা আঞ্চলিক লোড ডেসপাস সেন্টার এবং বরিশাল, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জে গ্রিড সাব—স্টেশনের প্রকৌশলী ও কর্মীরা ‘অপারেশন ব্লাক আউট’ পদ্ধতি অবলম্বন করে ইস্টার্ন জোনের সাহায়তায় প্রথমে ওয়েস্টার্ণ জোনের সঞ্চালন লাইনগুলো সচল করতে সক্ষম হন। রাত ৯টার পর পরই বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের গ্রিড সাব—স্টেশনগুলোতে অতি সিমিত ‘স্টেশন লোড’ পৌছে দিয়ে সবগুলো ১৩২/৩৩ কেভি সাব—স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়।

রাত সোয়া ৯টায় বরিশালে প্রথমে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিয়ে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক করা সম্ভব হলেও সাড়ে ৯টার দিকে দেড়শ’ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরিতে বরিশাল গ্রিড সাব—স্টেশনে মাত্র ১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবারহ শুরু হয়।

তবে এ গ্রিড বিপর্যয়ে পশ্চিম জোনের বেশিরভাগ পাওয়ার স্টেশনই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রায় রাত পেরিয়ে যায়। পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির দায়িত্বশীল প্রকৌশলীদের মতে, ‘রাতের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলসহ ওয়েস্টার্ণ জোনের বেশিরভাগ পাওয়ার স্টেশন উৎপাদনে ফিরে আসায় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে পরিস্থিতি স্বভাবিক হয়ে আসে। তবে ভোলা ২২৫ মেগাওয়টের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি চালু করতে কিছুটা বিলম্ব ঘটে। কিন্তু কি কারণে জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করে এ বিপর্যয় ঘটল তাৎক্ষনিকভাবে তা বলতে পারেননি কেউ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন