বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

তিন সপ্তাহেও সন্ধান মেলেনি

শিশু সন্তানসহ নিখোঁজ গৃহবধূ

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৭ এএম

অটোবাইকে চড়ে ৬ বছরের সন্তান নিয়ে স্বামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে খালার সাথে বের হয় গৃহবধূ সুরভী। পথিমধ্যে খালা তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য নেমে গিয়ে তিনি নিজের বাড়িতে পৌঁছলেও সুরভী স্বামীর বাড়িতে আর পৌঁছেনি। গত ২৩ দিনেও তার হদিস বাপের বাড়ি এবং স্বামীর বাড়ির কেউ জানে না। নিখোঁজের ঘটনায় সুরভীর বাবা কালু মিয়া ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি করলেও পুলিশ কোন সন্ধান পায়নি। আবার স্বামীর পরিবারের পক্ষে থানায় জিডি করতে আসলে একই ঘটনায় দুটি জিডি হয় না, তাই তারা ফিরে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সুরভি নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে লিখিত অভিযোগ করে।

জানা গেছে, উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামের ঠিকাদার কালু মিয়ার মেয়ে সুরভি বেগমের সাথে পাশ^বর্তী বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের সকদিরামপুর গ্রামের আ. মান্নান বেপারীর প্রবাসী আমিন বেপারীর সাথে ৮ বছর পুর্বে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৬ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যার সময় সুরভি বেগম তার বাপের বাড়িতে চলে আসে। পরে সে তার বাবাকে জানায়, তার শাশুড়ি তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। সুরভির বাবা সাথে সাথে মেয়েকে নিয়ে সকদিরামপুর যায়। সেখানে একই বাড়ির চট্টগ্রামের ব্যবসা করা আ. লতিফের মাধ্যমে ঘটনার মিমাংসা করে। পরে সুরভি কয়েকদিন বাবার বাড়িতে থাকবে বলে বাবার সাথে চলে আসে। সুরভির নিখোঁজের ঘটনা জেনে গত ১৮ আগস্ট তার পিতা কালু মিয়া ফরিদগঞ্জ থানায় জিডি করেন।

বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের মানিকরাজ গ্রামে কালু মিয়ার বাড়িতে গেলে দেখা হয় সুরভির খালা রানী বেগমের সাথে। তিনি জানান, একদিন আগে তিনি বোনের বাড়িতে এসেছেন। ওই দিনের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন সুরভি আমাদের সাথে গাড়িতে ছিল। আমাকে চান্দ্রা চৌরাস্তায় নামিয়ে দিয়ে একই গাড়িতে করে সকদিরামপুরের দিকে যায়। পরে শুনতে পাই, সে তার স্বামীর বাড়িতে পৌঁছে নি। সুরভির বাবা কালু মিয়া বলেন, সুরভি স্বামীর বাড়িতে যাবে বলে তাকে আমি অটোবাইক ঠিক করে দেই। পরে তার সাথে যোগাযোগ করা চেষ্টা করি কিন্তু কোন যোগাযোগ করতে না পেরে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করি।

সকদিরামপুর গ্রামে সুরভির শশুর বাড়ির আ. রহিম, বাচ্চু বেপারীসহ বেশ কয়েকজন জানান, আ. মান্নান বেপারীর দুই ছেলের সংসারে কোন অশান্তি দেখিনি। আ. মান্নান বেপারী ও তার স্ত্রী বড় ছেলে ইয়াছিন বেপারীর ঘরে থাকতেন। যদিও মাসের অর্ধেক সময় এক ছেলের ঘরে, বাকী সময় অন্য ছেলের ঘরে খাওয়া করতেন। উভয় পুত্রবধূর সাথেই তাদের ভাল সম্পৃক ছিল।

সুরভির শশুর আ. মান্নান বেপারী বলেন, সুরভি এই বাড়িতে একা থাকতো। আমরা বড় ছেলে ইয়াছিন বেপারীর ঘরে সাথে থাকি। প্রতি মাসে ১৫দিন এই বাড়িতে খাওয়া-দাওয়া করে আমরা বড় ছেলের বাড়িতে ঘুমাই। বাকি ১৫দিন ছোট ছেলে আমিন বেপারী বাড়িতে খাই। পরে সে বাপের বাড়ি চলে গেছে আর ফিরে আসলো না। আমার নাতনি ও পুত্রবধূকে ফেরত চাই। সুরভি নিঁেখাজের বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ শহিদ হোসেন বলেন, এই বিষয়ে নিখোঁজ জিডি হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন