জীবিকার তাগিদে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে বাবা ছেলেসহ আট জেলে নিখোঁজ এবং জীবিত ফিরে এসেছে তিন জেলে। নিখোঁজ সবার বাড়ী ভোলা সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়নের ১ ও ৪ নং ওয়ার্ডে। এই ঘটনায় ভেলুমিয়া গিয়ে দেখা যায় নিখোঁজ জেলেদের পরিবারে শোকের মাতম চলছে এবং পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
নিখোঁজ জেলেদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ভেলুমিয়ার ৪ নং ওয়ার্ডের কয়সর আহমেদ এর ছেলে নিরব মাঝি ও মজিদ মাঝির নেতৃত্বে ১১ জনের একটি দল সাগরে মাছ শিকারে যায়। মাছ শিকার করা অবস্থায় ভাসান চরের সীমানাবর্তী সাগরে ট্রলার বন্ধ করে সোমবার ভোরে ট্রলারের কেবিনে নাস্তা খাওয়া অবস্থায় হঠাৎ একটি পানির স্রোত (ধমকা) এসে ট্রলার ডুবে যায়। ডুবন্ত ট্রলার থেকে মজিদ মাঝিসহ তিনজন তিনদিন পানিতে ভেসে জীবিত ফিরে এসেছে এবং নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার করতে স্থানীয়রা সামরাজ মাছঘাটের ট্রলার গেলেও এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি।
নিখোঁজ জেলেরা হলেন- ভেলুমিয়া ৪ নং ওয়ার্ডের কয়সর মাঝির ছেলে নিরব মাঝি, নিরব মাঝির ছেলে রুবেল মাঝি, ১ নং ওয়ার্ডের করিম চকিদারের ছেলে দেলোয়ার মাঝি, নজির মৃধার ছেলে বজলুর রহমান, কেরামত আলীর ছেলের শহীদ ঝিলাদার, মোসলেম বেপারীর ছেলে রফিকুল ইসলাম, মফিজ উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীর, আলতু মাতাব্বরের ছেলে ইউসুফ ও সিরাজন বেপারীর ছেলে সিরাজ।
নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের স্বজনরা জানান, জীবিত হোক আর মৃত্যু হোক আমরা আমাদের স্বজন কে শেষ বারের মত একবার দেখতে চাই, প্রশাসনের প্রতি জোর অনুরোধ করে বলেন দ্রুত উদ্ধার করে জীবিত না থাকলে লাশটা যেন দাফন করার সুযোগ করে দেয়।
ভেলুমিয়া ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মহসিন খানঁ বলেন, পুরো ভেলুমিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে, একই এলাকার ৬ জন এবং প্রতিবেশী চন্দ্রপ্রসাদ এলাকার দুই জেলের নিখোঁজের খবরে, স্বজনদের কান্নায় কাঁদছে ভেলুমিয়াবাসী।
কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন অপারেশন কর্মকর্তা লে. সাফকাত জানান, আমরা বঙ্গোপসাগরে ৮ জেলে নিখোঁজের খবর পেয়েছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। নিখোঁজদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যায়নি বলে জানান ভুক্তভোগীর পরিবার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন