চীনাদের বিশেষ কিছু অনুষ্ঠানে যেমন: চীনা নববর্ষ, ড্রাগন বোট ফেস্টিভ্যাল, মিড অটাম ফেস্টিভ্যাল, টম্ব সুইপিং ডে, মে ডে এবং স্বাধীনতা দিবসে লম্বা ছুটির ব্যবস্থা আছে। পরিবারের সবার সাথে ঘুরেফিরে এবং জাঁকজমকপূর্ণভাবে ছুটি পালনের জন্য এসব অনুষ্ঠানে সর্বনিন্ম তিন দিন থেকে শুরু করে কোনো কোনো ক্ষেত্রে একসাথে ১০-১২ দিনের ছুটির ব্যবস্থা আছে। চীনা নববর্ষে ছুটির ব্যাপ্তি থাকে প্রায় ১২ দিন। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই ছুটির পরিধি দুই মাসেরও বেশি। সকল ছুটির সময়ে ভ্রমণপিপাসু চীনারা নিজেদের মতো পরিকল্পনা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দল বেঁধে দেশে বা দেশের বাইরে দর্শনীয় স্থান পর্যবেক্ষণে বের হয়। চীনাদের কাছে সকল ছুটি স্বাভাবিক দিনগুলোর মতই, কিন্তু নিঃসন্দেহে বাড়তি আনন্দ নিয়ে আসে এবং স্বাভাবিকভাবে চলে যায়। ছুটি কাটাতে নির্দিষ্ট গন্তব্য যাওয়া-আসা নিয়ে কারো ভিতরে কোনরকম অনিশ্চয়তা ও উত্তেজনা কাজ করে না। কেননা, চীনাদের ছুটির সময়ে বাড়ি ফেরা বা অন্য কোথাও ভ্রমণের সময় পথিমধ্যে পরিবহন দুর্ঘটনা, পরিবহন টিকিটের অপ্রতুলতা বা টিকিট নিয়ে কালোবাজারি বা অন্য কোনো অনিয়ম কখনো দেখা যায় না। উপরন্তু ছুটির সময়ে সব পরিবহন কোম্পানি তাদের টিকিটের নির্ধারিত মূল্যের উপর বাড়তি ছাড় দিয়ে থাকে। যেটা চীনাদের ভ্রমণ আনন্দকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। আর সেই কারণেই বন্ধে বাড়ি ফেরা, দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণ, ছুটি শেষে আবার কর্মস্থলে ফেরা নিয়ে চীনাদের মধ্যে উদ্বিঘ্নতা বা উত্তেজনা একেবারেই দেখা যায় না।
চীনাদের ছুটির সময়ে ব্যক্তিগত অফিস, কল-কারখানা থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠান একসাথে বন্ধ থাকে। এখানে ধনী-গরিব, শ্রমিক-মনিবের জন্য আলাদা কোনো নিয়ম নেই। কীভাবে চীনা প্রশাসন একসাথে এতদিন ছুটির ব্যবস্থা করে সে বিষয়ে একটু পরিষ্কার করতে চাই। বেশিরভাগ ছুটির সাথে কর্তৃপক্ষ বাড়তি ১-২ দিন ছুটি যোগ করে। এই বাড়তি যে ১-২ দিন যোগ করা হয়, সেটা পুষিয়ে নেওয়া হয় ছুটিতে যাওয়ার আগের বা পরের সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটির একদিনে সকল অফিস, কর্মস্থল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে। সে হিসেবে দেখা যায়, আপাত দৃষ্টিতে মূল অনুষ্ঠান উপলক্ষে চীনাদের ঘোষিত ছুটি সাপ্তাহিক ছুটির কর্ম দিবসের সাথে যোগ হয়ে যাচ্ছে। এতে করে টানা তিন বা তদূর্ধ্ব দিনের বন্ধে কর্মক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়ে না। অপরদিকে যেখানে এক দিন ছুটি ছিল সেটা তিনদিন এবং তিন দিনের ছুটির ব্যাপ্তি বেড়ে পাঁচ দিন হয়ে যায়। আর পাঁচ দিন একটানা ছুটি পাওয়ার আনন্দে সবাই আগের বা পরের সপ্তাহের ছুটির একদিনে বেশ উৎফুল্ল হয়েই কর্মক্ষেত্রে কাজ করে।
ছুটির সময়ে এখানকার সকল ব্যাংকের আর্থিক লেনদেনও বন্ধ থাকে। কিন্তু ব্যাংকের এটিএম বুথ খোলা থাকে। তাছাড়া চীনাদের আর্থিক লেনদেন শতভাগ অনলাইন হওয়ায় ব্যাংক খোলা বা বন্ধ থাকায় ছুটির জন্য আর্থিক লেনদেনের উপর কোনো প্রভাব পড়ে না। তিন বছরের অধিক সময়ে এখানে থাকার অভিজ্ঞতায় এটুকু মনে পড়ে, প্রথমে একদিন ব্যাংকে গিয়েছিলাম হিসাব খোলার জন্য। এরপর আর কোনদিন ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন পড়েনি। তাছাড়া বিগত তিন বছরে কোনো ক্যাশ টাকার লেনদেন আমি করেছি বলে মনে হয় না। এদের আর্থিক লেনদেন শতভাগ অনলাইন হওয়ায় ক্যাশ টাকার প্রয়োজন পড়ে না। তাই লম্বা ছুটিতেও আর্থিক লেনদেনে কোনো সমস্যায় পড়ে না চীনারা।
জনগণকে খুশি রাখতে চীনা প্রশাসন সবসময় তৎপর থাকে। ভ্রমণ পিপাসু চীনারা প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক বেশি এগিয়ে থাকায় এদের যাতায়াত ব্যবস্থা অত্যন্ত আধুনিক। আয়তনে বৃহত্তর এবং প্রথম সারির দিকে অবস্থিত এই দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পাড়ি জমাতে জনগণকে অতিক্রম করতে হয় হাজার হাজার মাইল দূরত্ব। কিন্তু তাতে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। সবার জন্য দ্রুত গতিতে তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর নিশ্চয়তা চীনা প্রশাসন দিয়ে থাকে। সবকিছু মাথায় রেখে চীনা প্রশাসন দিনকে দিন যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত থেকে উন্নততর করেই চলেছে। স্থলপথ, আকাশ পথ এবং নৌপথের সবখানেই আছে নিরাপদ ভ্রমণের প্রায় শতভাগ নিশ্চয়তা। প্রশাসনের নজরদারি সর্বত্র সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়ায় এখানে ভিআইপি, নন-ভিআইপি, ধনী-গরিব, ছোট-বড় সকলের জীবনের মূল্য সমানভাবে গুরত্ব পায়। তাই ছুটির সময়গুলোতে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে পরিবহন দুর্ঘটনায়, পানিতে ডুবে, রোড এক্সিডেন্টে কাউকে প্রাণ হারাতে শোনা যায় না।
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র জনগণকে খুশি রাখার জন্য চীনা প্রশাসন দাপ্তরিক সকল কাজকে সচল রেখে ছুটির পরিধি কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখে। প্রশাসনের সার্বিক বিবেচনায় সর্বাধিক জনসংখ্যার এই দেশে পরিবহন সংকট তেমন দেখা যায় না। ফলে সবাই আরামে যথাসময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। পেশাগত জীবনের দায়িত্ব পালন করতে করতে মানুষ যখন হাঁপিয়ে ওঠে তখন সবারই দরকার পড়ে বিশ্রামের। দরকার পড়ে পরিবার-পরিজনের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে উৎসব উদযাপন করার। বছরে অন্তত একবার এই সুযোগ সকল কর্মজীবী যিনি যত ছোট বা বড় প্রতিষ্ঠানেই কর্মরত থাকুক না কেন সকলকে দেওয়া উচিত। বাইরের বহু দেশের জনগণের এই সুযোগ আছে। কিন্তু আমাদের দেশে সে ধরনের কোনো তৎপরতা কখনো দেখা যায় না। আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ অনুন্নত। তার উপর আছে পাহাড়সম বাড়তি জনসংখ্যার চাপ। দেশে সবচেয়ে বড় ছুটি দেওয়া হয় দুই ঈদে সর্বোচ্চ তিন দিন করে। কারো কারো ক্ষেত্রে ওই তিন দিনের দুই দিনই চলে যায় তাদের বাড়ি পৌঁছাতে। ঝক্কি-ঝামেলা নিয়ে বাড়ি পৌঁছানোর পরের দিনই আবার কর্মক্ষেত্রে ফেরার সময় হয়। সাথে যুক্ত হয় পরিবহন মালিকদের তৈরি কৃত্রিম বিড়ম্বনা। কেননা, দুই বা তিনদিন একটানা ছুটি পড়লেই পরিবহন মালিকেরা নড়ে চড়ে বসে। পরিবহনের টিকিটের মূল্য প্রায় দ্বিগুণ বর্ধিত করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সেই দ্বিগুণ মূল্য দিয়েও মেলে না কাক্সিক্ষত টিকিট। সাথে সক্রিয় হয়ে ওঠে কালোবাজারিরা। সবকিছুই চিন্তা করে ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়া বা কোথাও ঘুরতে যাওয়া আমাদের দেশে রীতিমত একটা যুদ্ধ। তাই বাধ্য হয়েই অনেকের প্রবল ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও গ্রামের বাড়ি না গিয়ে নিজ নিজ কর্মস্থলেই মনের কষ্ট নিয়ে ছুটি তথা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আনন্দকে ম্লানভাবে উদযাপন করে। আমাদের দেশের মতো বিশ্বে আর কোনো দেশে এমন পরিবহন সংকটে পড়ে মানুষ তাদের গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে হতাশার শিকার কিনা আমার জানা নেই। যেকোন বন্ধে গৃহমুখী মানুষের চাপ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক কিন্তু কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মানুষের ভোগান্তি বাড়ানোর কোনো যুক্তি আছে কিনা আমাদের সবার অজানা।
দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ যখন বিভিন্ন ছুটিতে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয় তখন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি পার হতেই কখনো কখনো চলে যায় এক থেকে দেড় দিন। বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে চাই, ঢাকা থেকে জেলা শহরের দূরত্ব মাত্র ২৩০ কি.মি.। কিন্তু পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ফেরি পার হয়ে এই দূরত্ব পাড়ি দিতে সময় লেগেছে ৩২ ঘণ্টা। সামান্য এদিক সেদিক হয়ে ঈদের বন্ধে সিংহভাগ মানুষের বাড়ি ফেরার অভিজ্ঞতা এমনই। ফেরির আগে ও পরে পরিবহন দ্রুত গতিতে চললেও ফেরির সিরিয়াল পাওয়া যেন স্বর্গের সিঁড়ির নাগাল পাওয়ার মতো। অনেক সময় কৃত্রিম সংকট তৈরি করেও ফেরিঘাটে সৃষ্টি করা হয় ইচ্ছাকৃত জ্যাম। জাতি হিসেবে আমরা কতটা হীনমন্য তার পরিচয় পাওয়া যায় এসব নিকৃষ্ট কর্মকান্ড দেখে। ঈদের বন্ধে রাজধানী থেকে বের হওয়ার প্রধান প্রধান রাস্তাগুলোর এমন চিত্র আমাদের সবারই জানা। ধনী-গরিব সকলের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়েই নিয়ম-নীতি প্রয়োগ করলে সবাই এর সুফল পাওয়া যায়। একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তার যেমন পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটি কাটাতে ইচ্ছা হয়। ঠিক তেমনি একজন পোশাক কারখানার শ্রমিকেরও একই ইচ্ছা হয়। কিন্তু খুবই কমসংখ্যক মানুষ বিভিন্ন উৎসবে পরিবার-পরিজনের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পায়। আবার অনেকের ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন থেকে ছুটি ম্যানেজ করাও অনেক দুঃসাধ্য। কিন্তু বিষয়গুলো সকলের জন্য সম অধিকার হওয়ার ছিল।
দেশের খুবই কম সংখ্যক মানুষের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। কিন্তু এদের বেশিরভাগই সরকারের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা বা বড় বড় ব্যবসায়ী গোছের মানুষ। তারা চাইলেই যেকোন মুহূর্তেই পরিবারের সাথে উৎসবে যোগ দিতে পারে। আবার নিজেদের গন্তব্যেও বেশ আরামে ফিরতে পারে। তাদের মাথায় নেই পরিবহন সংকটে গন্তব্যে ফেরার ভয়, ফেরি পার হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকার ভয়, গাদাগাদি করে জীবন হাতের মুঠোয় নিয়ে চলাচলের ভয়। তাই তারা কল্পনায়ও আনতে পারে না, দেশের অধিকাংশ মানুষের বিভিন্ন উৎসব পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ভোগান্তি নিয়ে যাত্রার চিত্র।
ধনী-গরিব প্রতিটা মানুষের জীবনের মূল্য সমান। যখন কোনো পরিবারের কেউ সবার সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমিয়ে পথিমধ্যে দুর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারায়, তখন তাদের আপনজন বুঝতে পারে প্রিয়জন হারানোর বেদনা। তাদের কাছে উৎসব নেমে আসে অভিশাপ হিসেবে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি দেশে নিত্ত নৈমিত্তিক ব্যাপার হলেও ঈদের সময়ে এর ব্যাপকতা বেড়ে যায়। অনেক আনন্দের ঈদযাত্রা শেষ পর্যন্ত শোকযাত্রায় পরিণত হয়। বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণে কেউই সোচ্চার নয়। বাংলাদেশের যাত্রী কল্যাণ সমিতির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দেখা গেছে, ঈদের আগে ও পরে মোট ১৩ দিনের সড়ক দুর্ঘটনায় ২০১৬ সালে ১২১ জন, ২০১৭ সালে ২০৫ জন, ২০১৮ সালে ২৭৭ জন, ২০১৯ সালে ২৩২ জন, ২০২০ সালে ১৪৯ জন এবং ২০২১ সালে ৩১৮ জন মারা গেছেন। গেল ছয় বছরের মধ্যে এবারই ঈদযাত্রায় (ঈদুল ফিতর) সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে লকডাউন নিয়েই গত দুই বছরের ঈদ পালিত হলো। কিন্তু লকডাউনের মাঝেও থেমে নেই দুর্ঘটনা।
দেশের সকল মানুষের অধিকার আছে ছুটির সময়ে পরিবারের সবার সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে উদযাপন করার। কিন্তু সেই আনন্দ যাতে ম্লান হয়ে না যায় সেদিকে যথেষ্ট দৃষ্টি অবশ্যই কর্তৃপক্ষের দেওয়া উচিৎ। পরিবহন সংকট এড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট ছুটির আগে এবং পরের সপ্তাহের সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একদিন করে বাড়তি কর্মদিবস পালন করে ছুটির পরিধি একটু বাড়ালে জনগণ অবশ্যই ওই সিদ্ধান্তকে বাহবা জানাবে। তাছাড়া এমন ছুটিতে অফিস পাড়ার কর্মচঞ্চলতায় তেমন ক্ষতি হওয়ার কথা নয়, তদুপরি পরিবহন সংকট কিছুটা হলেও লাঘব হবে। সাথে করে জনগণ তাদের প্রিয়জনদের সাথে উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করার সময় পাবে। সাপ্তাহিক ছুটির দুইদিনে একদিন কর্মদিবস থাকলে আপাত দৃষ্টিতে বাড়তি ছুটিতে কোনো প্রভাব পড়ার কথা না। সকল কল-কারখানা শ্রমিকদের জন্য একই নীতি সামনে রেখে সরকার যদি সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তাহলে বহু জনগণের বাহবা পাবেন সেটা সহজেই অনুমেয়।
প্রতিটি দুর্ঘটনা এক একটি পরিবারের জন্য কালো অধ্যায়। দেশের বাড়তি জনসংখ্যার চাপ, পর্যাপ্ত পরিবহনের অভাব, সাথে সনাতনী যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ বেশ কিছু অব্যবস্থাপনাকে দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির কারণ হিসেবে দায়ী করা যেতে পারে। কর্তৃপক্ষকে শুধুমাত্র নিজেদের সুবিধাদি না ভেবে সাধারণ জনগণের বিড়ম্বনাকে বোঝার চেষ্টা করলে এসকল সমস্যা থেকে অচিরেই মুক্তি মেলা সম্ভব। তা নাহলে জনগণের ভোগান্তি বাড়ার সাথে সাথে সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি জনগণের নেগেটিভ ধারণা দিনকে দিন বাড়তেই থাকবে। দেশের সার্বিক উন্নতির লাগাম ধরে রাখতে যেটার ফারাক কমানোটা অতীব জরুরি। দুর্ঘটনায় ব্যাপক প্রাণহানির পরে ‘বিশেষ তদন্ত কমিটি’ গঠনের চেয়ে দুর্ঘটনার আগে উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসন সোচ্চার হলে বেঁচে যাবে অনেক জীবন, অনেক পরিবার।
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
ajoymondal325@yahoo.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন