অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ আর কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত এবং রেয়াতি সুবিধা দেয়ার একক ক্ষমতা কমেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এনবিআরের। এখন থেকে এসব সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে এনবিআরের পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নেবে এফবিসিসিআই, বিনিয়োগ বোর্ড, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ট্যারিফ কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি। তবে এজন্য কঠিন করা হয়েছে শর্ত। বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করেছে এনবিআর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে কমবে অনিয়ম দুর্নীতি।
সুবিধা পাবেন প্রকৃত উদ্যোক্তারা। বেসরকারী খাতের দ্রুত বিকাশ ও সম্প্রসারনের ফলে একটি সন্তোষজনক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথে বাংলাদেশ। সরকারের পক্ষ থেকে নানা রকম প্রণোদনা দেয়ার ফলে পোশাক শিল্প হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত।
এছাড়া পন্যের বহুমুখীকরণে উৎসাহ দেয়ায় অন্য শিল্প স্থাপনেও আগ্রহী হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তারা। বাড়ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। তবে নতুন শিল্প স্থাপনে সরকারের উদারনীতি, আর্থিক প্রনোদনা ও শুল্ক-কর সুবিধার সুযোগ নিয়ে অসাধু উদ্যোক্তারাও গণহারে ভীড় করছে এনবিআরে। অনেকে তদবির ও অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে এ সুযোগের অপব্যবহার করছেন।
তাই প্রকৃত উদ্যোক্তারা যেন এ সুযোগ পান সেজন্য শুল্কমুক্ত ও রেয়াতি সুবিধায় শিল্পের যন্ত্রপাতি যন্ত্রাংশ ও কাঁচামাল আমদানীতে এনবিআরের একক ক্ষমতা কমানো হয়েছে। এখন এনবিআরের পাশাপাশি যুক্ত করা হয়েছে এফবিসিসিআই, বিনিয়োগ বোর্ড, ট্যারিফ কমিশন ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে। একই সাথে কঠিন করা হয়েছে শর্ত। নতুন ক্ষমতাপ্রাপ্ত কমিটির সুপারিশের পর যেসব উদ্যোক্তা এসুবিধা পাবেন, পরবর্তী ছয় মাস তাদের নজরদারিতে রাখা হবে।
আমদানি করা পণ্য বাইরে বিক্রি করা যাবে না, এই মর্মে মুচলেকাও দিতে হবে। আর সরেজমিনে কারখানা পরিদর্শনেকোনো অনিয়ম ধরা পড়লে তাদের কাছ থেকে প্রদত্ত হারে শুল্ক-কর আদায় করা হবে। এনবিআর কর্মকর্তারা ক্যামেরায় কথা না বললেও, তারা জানান, নতুন নীতিমালায় এনবিআরের একক ক্ষমতা কমলেও প্রকৃত উদ্যোক্তারাই লাভবান হবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন