এসএসসি পরীক্ষার্থী ও তার মাকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় আসামি মো.শহীদের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। অন্যতম আসামি আবু রায়হান ইতিমধ্যেই ইন্তেকাল করায় তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি আদালত। বিচারিক আদালতের দেয়া ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন সংক্রান্ত শুনানি) এবং আসামিপক্ষের আপিল শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি এসএম এমদাদুল হক এবং বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হারুন অর রশিদ ও সহকারি এটর্নি জেনারেল জাহিদ আহমদ হিরো। আসামিপক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট শহিদুল ইসলাম। জাহিদ আহমদ হিরো সংবাদ মাধ্যমকে জানান, আসামি শহীদের মৃত্যুদন্ড বহাল রেখেছেন আদালত। বিচারিক আদালতে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি আবু রায়হান মারা যাওয়ায় আদালত তার বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।
এর আগে ২০১৫ সালের ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে বাসায় প্রবেশ কিশোরী ও তার মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দুই আসামির মৃত্যুদন্ড দেন আদালত।
এ মামলায় চট্টগ্রাম দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মহিতুল হক এনাম চৌধুরী চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। আসামিরা হলেন, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের হাবিলদার আবুল বাশারের ছেলে আবু রায়হান (২৭) ও নগরীর খুলশি এলাকার একটি রেস্টহাউসের গাড়ি চালক মো. শহীদ। ২০১৪ সালের ২৪ মার্চ চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার ১৭ নম্বর রোডের ১২৯ নম্বর বাড়ি ‘পদ্মা-যমুনা’য় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট রেজাউল করিমের স্ত্রী রেজিয়া খাতুন (৪৯) ও তার মেয়ে সাইমা আক্তারকে (১৭) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পর পুলিশ ওই বাসা থেকে রক্তমাখা একটি ছোরা, জিন্সের প্যান্ট, শার্ট, একটি ব্যাগে থাকা দুই বোতল পেট্রোল, ৭টি মোবাইল সিম, টেঁটা ও তোয়ালে উদ্ধার করে। নিহত রেজিয়া খাতুনের স্বামী রেজাউল করিম ডবলমুরিং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরদিন গোয়েন্দা পুলিশ খুলশি থেকে শহীদ এবং ঢাকার ফকিরাপুলের একটি আবাসিক হোটেল থেকে রায়হানকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে গত বছরের ২৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। ৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরিত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন