বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রায়হানুরের ফাঁসির আদেশ

আলোচিত ফোর মার্ডার মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, সাতক্ষীরা থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

সাতক্ষীরার কলারোয়ার আলোচিত ফোর মার্ডার মামলার আসামি রায়হানুর রহমান ওরফে রায়হানকে ফাঁসিতে ঝুলিতে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মফিজুর এই রায় ঘোষণা করেন। সাতক্ষীরা জজ আদালতের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ তার সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কলারোয়া উপজেলার ৯ নম্বর হেলাতলা ইউনিয়নের খলসি গ্রামের বাসিন্দা মৃত শাহাজাহান আলীর তিন ছেলে। বড় ছেলে শাহীনুর রহমান আট বিঘা জমিতে মাছ চাষ করতেন। মেজ ছেলে আশরাফুল ইসলাম মালয়েশিয়ায় থাকেন। ছোট ছেলে রায়হানুর রহমান ছিলেন বেকার। তিনি বড় ভাই শাহীনুরের সংসারে খাওয়া দাওয়া করতেন। ২০২০ সালের ১০ জানুয়ারি স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় রায়হানুরের। সংসারে খরচের টাকা দিতে না পারায় তাকে মাঝেমধ্যে বকাঝকা করতেন ভাই শাহীনুর রহমান ও তার স্ত্রী সাবিনা খাতুন। এর জের ধরে ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর মধ্যরাতে রায়হানুর রহমান তার ভাই শাহীনুর, ভাবী সাবিনা ও এই দম্পতির ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী ও মেয়ে তাসমিন সুলতানাকে প্রথমে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। পরে ভোর চারটার দিকে তাদের চারজনকে হাত ও পা বেঁধে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। তবে ওই পরিবারের চার মাসের শিশু মারিয়াকে হত্যা না করে লাশের পাশে ফেলে রেখে যান রায়হানুর।
এ ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা সন্দেহভাজন হিসেবে রায়হানুর, একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মালেক ও ধানঘোরা গ্রামের আসাদুল সরদারকে গ্রেফতার করেন। এ ঘটনায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রায়হানুর। এতে বলেন, তিনি একাই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছেন। রায়হানুরকে একমাত্র আসামি দেখিয়ে ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বিচারক এ মামলার ১৮ জন সাক্ষী ও ১ জন সাফাই সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন