সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

স্বর্ণের চেয়ে নয়গুণ দামি পণ্য নিয়ে রহস্য

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০১ এএম

নাম রোডিয়াম। দুর্লভ ও মহামূল্যবান ধাতু হিসেবে পরিচিত এটি। খুব সামান্য পরিমাণে আমদানি হওয়া এই পণ্য নিয়ে এখন হুলুস্থুল চলছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে চীন থেকে এই পণ্যটি এনেছে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের নাসির ওপাল গ্লাস অ্যান্ড ক্রোকারিজ লিমিটেড। আমদানির ঘোষণায় পণ্যটির নাম রয়েছে ‘প্লাটিনাম রোডিয়াম কভার’। আনা হয়েছে কাঠের ছোট বাক্সে। তাতে ছোট আকারের ফানেলের মতো নয়টি পণ্য রয়েছে। শিল্পে ব্যবহারের জন্য এই পণ্য আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসির গ্রুপ।

আমদানিকারক ঘোষণা দেন, মাত্র ২০০ গ্রাম ওজনের পণ্যটির আমদানি মূল্য সাড়ে ৩৮ হাজার মার্কিন ডলার। ওজন ও দাম দেখে এই পণ্য পরীক্ষা করে খালাসের সিদ্ধান্ত দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। ৬ সেপ্টেম্বর প্রথম কায়িক পরীক্ষা হয়। তাতে দেখা যায়, পণ্যটির ওজন ৮১৫ গ্রাম। আমদানিকারকের ঘোষণা ছিল ২০০ গ্রাম।

ঘোষণার চেয়ে তিন গুণ বেশি ওজনের পণ্য পাওয়ায় খালাস স্থগিত করে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কিটকো ও মানিমেটালস ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববাজারে গতকাল প্রতি কেজি রোডিয়ামের মূল্য ছিল চার লাখ ৮১ হাজার ডলার বা চার কোটি ১১ লাখ টাকা। এই দাম সোনার চেয়ে নয় গুণ বেশি। মূলত পরিবেশবান্ধব বৈদ্যুতিক গাড়িশিল্পে রোডিয়ামের ব্যবহার বেশি। ক্ষয়নিরোধী প্রলেপ হিসেবেও এটি ব্যবহার করা হয়। আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাসকারী সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান গালফ বিডি এন্টারপ্রাইজের কর্ণধার ওবায়দুল হকের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন না ধরায় তার মতামত জানা যায়নি। কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, গত আট বছরে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এই পণ্যটি আমদানির তথ্য নেই। তবে শিল্পকারখানায় ব্যবহারের জন্য মূল যন্ত্রের সঙ্গে আমদানি হয়ে থাকতে পারে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, অতি মূল্যবান পণ্য হওয়ায় সরেজমিন পরীক্ষা করে খালাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরীক্ষা করে ঘোষণার বেশি পণ্য পাওয়া গেছে। আমদানিকারক যেহেতু আবার পরীক্ষার আবেদন করেছেন, সে জন্য দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করা হবে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, এই পণ্যটির করভার ৩৭ শতাংশ। আমদানিকারকের ওজন ও মূল্য ঘোষণা অনুযায়ী, ২০০ গ্রামের কর ১২ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। তবে পরীক্ষায় পাওয়া ওজন ও মূল্য ধরা হলে কর আসবে প্রায় ৫০ লাখ টাকা। আমদানিকারক কাস্টমস কর্মকর্তাদের কাছে দাবি করেছেন, প্লাটিনাম রোডিয়াম কভার পণ্যের মধ্যে মূল রোডিয়ামের পরিমাণ ২০০ গ্রাম। এটি নাসির ওভাল ক্রোকারিজ কারখানায় পণ্য উৎপাদন কাজে ব্যবহারের জন্য আনা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন