বান্দরবানে সড়ক যোগাযোগ সহজ করতে নির্মাণ করা হচ্ছে ৫০০ ফুট দীর্ঘ একটি টানেল। এ টানেল বর্তমান শহরের বাস স্টেশনের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল (হাফেজঘোনা) সড়কের সঙ্গে সংযোগ হবে। এটি পর্যটন শহর বান্দরবানের সৌন্দর্যকে শাণিত করবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে ১০কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে এই টানেলটির নির্মাণ কাজ চলমান। এটি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের জন্য প্রথম টানেল। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপির প্রচেষ্টা ও তার নির্দেশে এ প্রথম বান্দরবানে টানেলটি নির্মিত হচ্ছে।
জানা গেছে, বান্দরবানে বর্তমান বাস স্টেশনের জায়গা কম হওয়ার কারণে পাশে হাফেজঘোনায় বিশাল এলাকা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়েছে অনেক আগে। কিন্তু টার্মিনালে যেতে সড়কের দু’ পাশে পাহাড় রয়েছে। আগে উক্ত সড়কটি নির্মাণ হলেও বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের কারণে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এছাড়া সড়কটির দু’পাশে পাহাড় থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালটি নির্মাণের অনেক বছর পরও সেখানে যানবাহন যেতে পারে না। কিন্তু বর্তমান বাস স্টেশনটি খুব ছোট হওয়ায় দিন দিন যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে সেখানে স্থান সংকুলান হয় না। ফলে সবসময় যানজট ও জনগণের ভোগান্তি লেগে থাকে। এই দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল চালু করার লক্ষ্যে পাহাড়ি সড়কটিতে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাতের পরিকল্পনায় টেকনিক্যাল ও লজিস্টিক সাপোর্টে দুই দফায় মোট ১০ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫০০ ফুট দীর্ঘ এই টানেলটি নির্মাণাধীন আছে। প্রথম দফায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে সংশোধন করে টানেলটি ৫০০ ফুট দীর্ঘ করে আরো ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হয়। টানেলটি নির্মাণ কাজ করছে এম এম ট্রেডার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এ বছরের ডিসেম্বরে এটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াছির আরাফাত বলেন, এই টানেলটি চালু হলে কেবল সড়ক যোগাযোগই নয়, বান্দরবান শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। পর্যটন শহরের গুরুত্ব বাড়বে। পাশাপাশি মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। তিনি জানান, বর্তমানে টানেলটির ৬৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। করোনার কারণে অবশিষ্ট কাজ এ বছর ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন