করোনার বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নিয়ে দুশ্চিতায় এলাকাবাসী। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় রানীগঞ্জ ইউনিয়ন এর চর উদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন অভিযোগ উঠেছে। প্রায় দেড় বছর পর বিদ্যালয় খুললেও চর উদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর উপস্থিতি। নেই পরিস্কার পরিছন্ন বেহাল দশা বিদ্যালয়টির।
জানা গেছে, করোনার থাবায় বন্ধ হয়ে যাওয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা আসে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে। সেই মতাবেক কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোয় শিক্ষার পরিবেশের বিভিন্ন পরিবর্তন তৈরি করা হলেও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান অজ্ঞাত কারনে নেয়নি কোন উদ্যোগ। বিদ্যালয় খোলার ৫দিন পর বৃহস্পতিবার উপজেলার চর উদনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন বেলা ১১ টা ১৫ মিনিটে গিয়ে শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম ছাড়া দেখা মেলেনি কোন শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থীর। বিদ্যালয়ের অবস্থাও বেশ নাজুক। চারপাশ ময়লা আবর্জনা এমনকি শহীদ মিনারটি ছিল ছাগলের ময়লা দিয়ে ভর্তি। বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ৪টি পদ থাকলেও সহকারী শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম উপস্থিত থাকলেও আর কোন শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেনটি বলে জানান এলাকাবাসী। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কম তা স্বীকার করে সহকারী শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম বলেন, সবেমাত্র স্কুল খুললেও এখনো অনেকে জানতে পারিনি এছাড়াও চারদিকে পানি থাকায় আপাতত শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। প্রধান শিক্ষক বাবলু মিয়া বলেন আমি ছুটিতে আছি তবে সহকারী শিক্ষক সবিতা রানী, মাহরুজা মুন কেন স্কুলে আসেনি তা আমারও জানা নেই তিনি আরো বলেন আজকের বিষয় টি অত্যান্ত দুঃখ জনক । প্রধান শিক্ষক ছুটি নিয়েছেন স্বীকার করে উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, সহকারী দুই শিক্ষিকা সবিতা রানী, মাহরুজা মুন কেন বিদ্যালয়ে আসেননি তা ক্ষতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয় অপরিস্কার এবং শহীদ মিনারে ময়লার বিষয় তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু সালেক সরকার বলেন,ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন