লাইপোসাকসনের পরে করনীয় ঃ অনেকে শরীরের অত্যাধিক ওজন কমানোরে জন্য ডায়েটিং ও এক্সারসাইজ করেন। কিন্ত এর একটি সার্জিকেল চিকিৎসা অছে, যা লাইপোসাকসন নামে পরিচিত। মূলত ওজন কমানোর এই পদ্ধতিকে লাইপোসাকসন বলে। এই পদ্ধতিতে চামড়ার নীচের চর্বি মেসিনের মাধ্যমে বের করা হয়। অনেকে অতিরিক্ত মেদ বহুল ভুড়ি কমানোর জন্যই এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা করান। লাইপোসাকসন পদ্ধতিতে শরীরের যে স্থান থেকে চর্বি বের করতে হবে, সেখানে আধা ইঞ্চি জায়গা অবশ করে একটি সরু নল ডুকিয়ে মেসিন দিয়ে টেনে চর্বি বের করা হয় । শরীরে যদি অতিরিক্ত চর্বি থাকে ০৩ থেকে ০৫ ঘন্টায় ০৩ থেকে ০৫ কেজি চর্বি বের করা হয়। মূলত বডি শেপিং করার জন্য আজকাল এই পদ্ধতিতে অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পর ০৩ দিন বাসায় বিশ্রাম নিতে হয়। লাইপোসাকসন পদ্ধতিতে সাধারনত যে সকল জায়গা থেকে চর্বি বের করা যায়ঃ ১. পেট ও কোমর ২. থাই ৩. ব্রেস্ট ৪. আর্ম বা হাত ।
লাইপোসাশনের মাধ্যমে অপারেশন করলে অপারেশনের সময় ব্যথা হয় না। অপারেশনের পরে অতি সামান্য ব্যথা হতে পারে; সেজন্য পেইন কিলার দেয়া হয়, যাতে রোগী ব্যথা অনুভব না করেন। চিকিৎসক ও রোগী গাফিলতি না করলে এটি অবিশ্বাস্য রকম নিরাপদ। আর একটি বিষয় হলো রোগিকে বা ব্যক্তিকে অজ্ঞান করে অপারেশন করতে হয় না এমনকি হাসপাতালেও ভর্তি হতে হয় না। কিন্ত ০১ দিন পূর্ন বিশ্রামে থাকতে হবে। পরবর্তী ২ দিন বাসায় হাটা-চলা যাবে। ৪র্থ দিন থেকে থেকে স্বাভাবিক কাজ করা যাবে। ১০ দিন পর থেকে ভারী কাজ সহ সব ধরনের কাজ করা যাবে। লাইপোসাকসনের মাধ্যমে অপারেশনের পর অপারেশনের জায়গা স্লিম হতে ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে। স্থানভেদে ১/২ থেকে ৫ লিটার পর্যন্ত ফ্যাট বের করা হয়। সাধারনত যত লিটার ফ্যাট বের করা হবে তার দ্বিগুন পর্যন্ত ওজন কমে; তবে ওজন কমানোর জন্য লাইপোসাকসন না করানোই ভালো।
আবার চর্বি জমা হতে পারে ? প্রশ্ন হলো ওজন না বাড়ার উপায় কি ? ওজন না বাড়লে কখনোই আর নতুন করে চর্বি জমা হবে না। ডায়েটিং ও এক্সসারসাইজ ওজন না বাড়ার উপায়।
অনেকে প্রশ্ন করেন প্রেগনেন্ট হতে অসুবিধা হবে কি ? ব্রেস্টে লাইপোসাকসনের পর ব্রেস্ট ফিডিং এ অসুবিধা হবে কি ? প্রেগনেন্ট হতে অসুবিধা হবে না। লাইপোসাকসন শুধু ফ্যাট কমায়; গ্ল্যান্ড কমায় না, ফলে ব্রেস্ট ফিডিং এ অসুবিধা হবে না। লাইপোসাকসনের পর স্কিন ঝুলে যাবে না । স্কিনের নিজস্ব ইলাসটিসিটি আছে ; তাছাড়া চিকিৎসকরা বাইন্ডার সাপ্লাই দেয়, তাই ঝুলে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
লাইপোসাকসনের পর ছিদদ্রগুলো মিলিয়ে যায়; অথবা ছোট দাগ থাকতেও পারে।
লাইপোসেকেসনের পর করনীয়:
১. প্রচুর তরল খাবার খেতে হয়।
২. ০১ দিন পূর্ন বিশ্রামে থাকতে হয়
৩. পরবর্তী ২ দিন বাসায় হাটা-চলা যায়
৪. ৪র্থ দিন থেকে থেকে স্বাভাবিক কাজ করা যায়
৫. ১০ দিন পর থেকে ভারী কাজ সহ সব ধরনের কাজ করা যায়
৬. প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ খেতে হবে
৭. শোয়া অবস্থায় বেন্ডেজ পরিবর্তন করা
৮. ২ দিন ধুমপান ও মদ্য পান করা যাবে না
ডা. এস এম বখতিয়ার কামাল
সহকারি অধ্যাপক (চর্ম যৌন ও অ্যালাজির্ রোগ বিভাগ)
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
কামাল হেয়ার এন্ড স্কিন সেন্টার,
বিটিআই সেন্টারা গ্রান্ড, ২য় তলা, ১৪৪, গ্রিণরোড ,ঢাকা
প্রয়োজনে-০১৭১১৪৪০৫৫৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন