লঘুচাপ আর মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলভাগে আবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া অব্যাহত রয়েছে। মাত্র দুদিন আগেই উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে ফুসে ওঠা সাগরের জোয়ারে দক্ষিণাঞ্চলের বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছিল। বুধবার রাতে সে প্লাবন পরিস্থিতির উন্নতি হলেও আরেকটি লঘুচাপের প্রভাবে শুক্রবার আবার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বরিশালে প্রায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বর্ষণে পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা অনেকটাই অকার্যকর হয়ে পরায় বরিশাল মহানগরীর অনেক রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে একটি রৌদ্রকরোজ্জল দিনের সূচনা হলেও সকাল ১০টার পরেই আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যেতে শুরু করে। সাড়ে ১১টার পর থেকে বজ্রপাতের ব্যাপক গর্জনের সাথে মাঝারী থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়। কয়েক দফার ভারী বর্ষণে সমগ্র দক্ষিণাঞ্চলের জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পরে। এনিয়ে চলতি মাসে এ নিয়ে তৃতীয় দফার লঘুচাপ ও নিম্নচাপসহ মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক’লভাগে ভারী বর্ষণের সাথে প্লাবনে আমন সহ ফসলী জমি প্লাবিত হল।
এবার দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলায় ৭ লাখ ২৮ হাজার হেক্টরে আমন অবাদ লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্য রয়েছে প্রায় ১৯ লাখ টন চাল। তবে রোপা সম্পন্ন হবার মধ্যেই তিন দফায় প্লাবনে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল আমনের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়লেও এবর্ষনে কিছুটা উপকার বয়ে আনতে পারে বলে মনে করছেন কৃষিবীদগন।
আবহাওয়া বিভাগ থেকে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ভারতের মধ্য উত্তর প্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানের কথা জানিয়ে ক্রমে তা দুর্বল হয়ে পড়ার কথা বলা হয়েছে। তবে মৌসুমী বায়ুর অক্ষের একটি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত বলে জানিয়ে তা দেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে দুর্বল থেকে মাঝারী অবস্থায় রয়েছে বলে জানান হয়েছে। পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চল সহ উপকূলভাগে হালকা থেকে মাঝারী সহ কোথাও কোথাও মাঝীর ধরনের ভরী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনার কথাও বলেছে আবহাওয়া বিভাগ। দুপুর সোয়া ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বরিশাল সহ সমগ্র দক্ষিণাঞ্চল সহ উপক’লভাগে মেঘলা আকাশ সূর্যকে সম্পূর্ণ আড়াল করে রেখেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর থেকে সঞ্চালনশীল মেঘমালা উপকূলভাগ পেরিয়ে দক্ষিণাঞ্চল অতিক্রম করছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন