বেনাপোল অফিস : যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন করা হচ্ছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত হলে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে যশোর, খুলনাসহ সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো সহজ হবে। পাশাপাশি বেনাপোল বন্দরের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য আরো গতিশীল হবে ও পণ্য পরিবহন গতি পাবে।
যশোর-বেনাপোল চার লেনে উন্নীতকরণে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
প্রকল্পটিতে ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা। ডিপিপিতে বলা হয়েছে, যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত সড়কের ৩৫ দশমিক ৮৯ কিলোমিটার দুই লেনবিশিষ্ট। চার লেন মাত্র ২ দশমিক ৩১ কিলোমিটার। প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনের জন্য ও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াতের জন্য প্রতিদিন এক হাজার যানবাহন এ মহাসড়কে চলাচল করে। কয়েক হাজার দেশী-বিদেশী পাসপোর্টধারী যাত্রীও সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। এছাড়া মহাসড়কের উভয় পাশে পাটকল, সিমেন্ট কারখানা, সার কারখানা, চামড়া শিল্পসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
প্রকল্পের পরিচালক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলী মাসুদ হায়দার জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতির লক্ষ্যে যশোর-বেনাপোল জাতীয় মহাসড়কের উন্নয়ন প্রস্তাবনাটি পরিকল্পনা কমিশনে দেয়া হয়েছে।
যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি মিজানুর রহমান খান বলেন, যশোর-বেনাপোল সড়কটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে। এতে প্রায় সময় সড়কটিতে যানজট লেগে থাকে। সড়কটি জাতীয়মানের হলে একদিকে যেমন সময় বাঁচবে, অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের যানজটে পড়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হবে না।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: মেহেদী ইকবাল জানান, একনেকে প্রকল্পটি অনুমোদন হলে আগামী জানুয়ারি মাসে যশোর-বেনাপোল সড়কের কাজ শুরু করা হবে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে সড়কটি সংস্কার করা হয়েছিল। বর্তমানে এ পথে ভারতের সাথে সরাসরি ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা- আগরতলা, খুলনা-কলকাতা যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন