চীনে বেশ কিছু বিষয় আমাকে বেশি মুগ্ধ করেছে। চীনাদের সবকিছুর মধ্যে দেখেছি প্রযুক্তির সব আধুনিক ছোঁয়া। মানুষের জীবনকে সুন্দর ও সাচ্ছন্দ্যময় করে তুলতে যা যা দরকার চীনাদের প্রযুক্তি তার সবকিছুর নিদর্শনই বহন করে। চীনারা অনেক বেশী সৌখিন এবং তাদের দৈনন্দিন চলার পথকে যথাসম্ভব মসৃন করতে চীনা প্রশাসন সর্বদা সচেষ্ট থাকে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে। বেশ কিছু বিষয় চীনা প্রশাসন এত সুচারুভাবে সম্পন্ন করে যেগুলো সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। আজকে চীনাদের ‘পাবলিক টয়লেট’ বা ‘গণশৌচাগার’ নিয়ে সামান্য আলোকপাত করতে চাই। অনেকের কাছে বিষয়টাকে হাস্যকর মনে হতে পারে। কেউ কেউ ভাবতে পারেন গণশৌচাগার নিয়ে বলার কি আছে? আমি বলব, হ্যাঁ, অনেক কিছু বলার আছে। এদের গণশৌচাগারকে ঘিরে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে।
চীনের বেশ কিছু প্রদেশের ছোট-বড় শহরে আমার ঘোরার সুযোগ হয়েছে। সবখানেই চীনাদের গণশৌচাগারগুলো আমার নজর কেড়েছে। নজর কাড়ার মত কি আছে সেটা এখন একটু বিস্তারিত বলতে চাই। চীনের শহর কিংবা গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ২/৩ কিলোমিটার দূরত্ব পর পর সর্বসাধারণের ব্যবহারের জন্য আধুনিক গণশৌচাগারা সবার চোখে পড়বে। এছাড়া অল্প দূরত্ব পর পর সব জায়গাতেই সাইনবোর্ড দিয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে গণশৌচাগার কত দূরে এবং কোনদিকে। সমস্ত পাবলিক প্লেস যেমন সব মেট্রো স্টেশনের কাছে এসব আধুনিক গণশৌচাগারগুলো অবস্থিত। এছাড়া ও পার্ক, বিনোদন কেন্দ্র, বিপনি বিতান ও সুপার মলের শৌচাগারগুলো সত্যিই প্রশংসানীয়। প্রতিটি গণশৌচাগারে পুরুষ, মহিলা, প্রতিবন্ধি এবং শিশুদের ব্যবহারের জন্য একের অধিক আলাদা আলাদা স্থান আছে। গণশৌচাগারের সাথে বেসিনে সার্বক্ষণিক পানির ব্যবস্থা, হ্যান্ড ওয়াশ, অটোমেটিক হ্যান্ড ড্রায়ার, এবং টিস্যুর ব্যবস্থাও করা আছে। আবার কোথাও কোথাও সুপেয় খাবার পানির ব্যবস্থা আছে। টিস্যু নেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারী একটা স্ক্রিনের সামনে দাঁড়ানোর পরে তার ফেস ডিটেক্ট করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্দিষ্ট পরিমান (প্রায় ৩/৪ হাত লম্বা) টিস্যু বের হয়ে আসে। যেকেউ এই সুবিধা নিতে পারে। তবে ব্যবহারকারী সর্বোচ্চ একবার এই টিস্যু নিতে পারে। কিন্তু সব শৌচাগার এই টিস্যু বা বেসিনের ব্যবস্থা নেই। জনাকীর্ণ এলাকায় এবং বেশীরভাগ বিনোদন কেন্দ্রের ভিতরে অবস্থিত শৌচাগারগুলোতে এই ধরনের সার্বিক সুবিধাদি থাকে।
এসব প্রতিটি শৌচাগার তদারকি করার জন্য কমপক্ষে একজন পরিচ্ছন্নতা কর্মী ২৪ ঘন্টা নিয়োগ আছে। কমপক্ষে বললাম এই কারনে, বেশ বড়সড় শৌচাগারগুলোতে একের অধিক পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ আছে। এসব পরিচ্ছন্নতা কর্মী প্রতি ১০-১৫ মিনিট পরপর ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, পরিষ্কারক দিয়ে এত ভালোভালো শৌচাগারের ফ্লোর, ব্যাসিন, কমোড থেকে শুরু করে সমস্ত স্থান পরিস্কার করে দেয়, যেটা কোন নামকরা আবাসিক হোটেলের শৌচাগারকেও হার মানায়। শৌচাগারগুলোর সাথে এসব পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ঘুমানো, বিশ্রাম নেওয়া বা রান্না করার জন্য ছোট জায়গা ও করা আছে। তাদের যেহেতু ২৪ ঘন্টাই ডিউটি সেহেতু কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলো ভেবেই তাদের সার্বিক সুবিধার কথা চিন্তা করে তাদের কর্মক্ষেত্রের সাথেই সমস্ত ব্যবস্থা করে রেখেছে। চীনের এসব গণশৌচাগার কিন্তু বিনা পয়সায় ব্যবহার করা যায়। বিনা পয়সায় হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড ড্রায়ার, টিস্যু পেপার, সুপেয় পানীয় ব্যবহার করা যায়। এখন নিশ্চয়ই অনেকেই অবাক হয়েছেন? হ্যাঁ, আমিও প্রথম প্রথম অবাক হয়েছিলাম। চীনে যারা ইতোমধ্যে ভ্রমন করেছেন বা ভবিষ্যতে করবেন, তারা আমার কথাগুলোর সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন।
এখন আমাদের দেশের গণশৌচাগারগুলোর দিকে নজর দিতে চাই। আমাদের রাজধানীতে দেড় কোটির মতো মানুষের বসবাস। এছাড়াও বিভিন্ন কাজের কারনে এবং লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ঢাকামুখি হচ্ছে। সেইসাথে দৈনন্দিন প্রয়োজন মেটাতে, চাকুরি, ব্যবসা, শিক্ষা, চিকিৎসাসহ নানাবিধ প্রয়োজনে প্রতিদির প্রায় এক কোটি মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে। এসকল মানুষের জন্য ঢাকা শহরে ব্যবহার উপযোগী ঠিক কতগুলো গণশৌচাগার আছে তার সঠিক তথ্য অনেকেটাই অজানা। ওয়েবসাইট ঘেঁটে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পারলাম ঢাকা শহরে মোট গণশৌচাগার আছে ১০০ টির মত যার ২৫টি উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অংশে এবং ৭৫টি দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অংশে পড়েছে। কিন্তু এসব গণশৌচাগারের বেশির ভাগই ব্যবহারের অনুপযোগী। যেমনঃ কোনোটির দরজা নেই, দরজা থাকলে ছিটকিনি নেই। কোনটি অন্ধকার, দুর্গন্ধযুক্ত, ভাঙা কমোড, পানির ব্যবস্থা নেই। এছাড়া সর্বসাধারণের ব্যবাহারের জন্য ব্যবহার উপযোগী যেসব শৌচাগার আছে সেখানে পুরুষদের যাওয়াটাই অনেকটা যুদ্ধের শামিল। মহিলা ও শিশুদের কথা সেখানে তো চিন্তাই করা যায় না। আবার বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার শতকরা প্রায় ১০ ভাগ প্রতিবন্ধী আছে। কিন্তু এসব ব্যক্তিদের জন্য গণশৌচাগার ব্যবহারে আলাদা কোন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেই।
বিনোদনকেন্দ্রের দিকে নজর দিলে দেখা যায়, ঢাকা শহরের হাতির ঝিল দর্শনার্থীদের উপচে পড়া সমাগম হয়। কিন্তু সেখানে নেই পর্যাপ্ত গণশৌচাগার। এছাড়া জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা, চন্দ্রিমা উদ্যানসহ অন্যান্য জনসমাগম পূর্ণ এলাকায়ও একই অবস্থা। ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানার কথা ধরলে দেখা যায় সেখানে গিয়ে একজন দর্শনার্থী যদি শৌচাগার খুঁজতে যায় তাহলে তার চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে যতটুকু সময় ব্যয় হবে তার চেয়ে বেশী সময় ব্যয় হবে এই শৌচাগার খুঁজে বের করতে। বহু খোঁজাখুঁজির পরে পাওয়া গেলেও সেখানে যাওয়া নিয়ে আছে অনেক সমস্যা। বিনোদন কেন্দ্রে প্রবেশের সময় জনগণ প্রবেশ মূল্য দিয়ে প্রবেশ করে ভিতরের শৌচাগার ব্যবহার করার সময় আবার গুনতে হয় বাড়তি টাকা। এসব শৌচাগারের বেশীরভাগই ব্যবহার উপযোগী নয়। সেগুলো দেখভালের জন্য নির্দিষ্ট পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ থাকলেও তারা তাদের কাজ ঠিকমত করছে কিনা সেগুলো তদারকি করা কর্তৃপক্ষের সময় নেই। যার ফলে টাকা দিয়ে এসব শৌচাগার ব্যবহারের পরে বেশীরভাগ ব্যবহারকারীর মনে অখুশি এবং ক্ষোভ দেখা যায়। এই চিত্র শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই নয়। সামান্য এদিক সেদিক হয়ে সমস্ত বিভাগীয় শহর থেকে শুরু করে জেলা পর্যায়ে একই অবস্থা বিরাজ করছে। দেশের বিভাগীয় শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লেগেই থাকে। বিশেষ করে বিভিন্ন জাতীয় উৎসব এবং ছুটির দিনগুলোতে চোখে পড়ার মত। কিন্তু কোথাও দর্শনার্থীদের শৌচাগারের ব্যবস্থা নেই।
এবারে নজর দিতে চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রায় সবখানেই সারাদিনে প্রচুর মানুষের আনাগোনা হয়। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর, কলা ভবন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, শহীদ মিনার চত্বরে অনবরত মানুষের ভিড় লেগে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছত্রীর বাইরে ঢাকা শহরের বহু মানুষ প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে আসে। অথচ লজ্জার বিষয় হল, এই বিশাল ক্যাম্পাসে একটিও গণশৌচাগার আছে কিনা আমার কাছে জানা নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেকেই ক্লাস রুম বা লাইব্রেরীর শৌচাগারগুলো ব্যবহার করে। কিন্তু বাইরের জনগণের এগুলো খুঁজে বের করতে হিমশিম খেতে হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিদিন মানুষের ব্যাপক আনাগোনা ছাড়াও বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান, যেমনঃ পহেলা বৈশাখ, পহেলা ফাল্গুন, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস সহ নানান অনুষ্ঠানে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটে। কিন্তু এসব মানুষের জন্য কি আদৌ কোনো শৌচাগারের ব্যবস্থা আছে? এককথায় এর উত্তর হবে, না।
গণশৌচাগার না থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বেশীরভাগ নারী ও শিশু এবং সর্বোপরি ওখানে ঘুরতে যাওয়া মানুষের। পুরুষ মানুষ অনেক সময় লাজ লজ্জা বিসর্জন দিয়ে জনসমক্ষে নিজেদের কাজ সেরে নিতে পারলে ও মহিলাদের জন্য বিষয়টি অনেক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। ঢাকায় বসবাসকারী নারীদের প্রায় ৮৫ ভাগই বিভিন্ন কারণে নিয়মিত বাইরে যায়। পথিমধ্যে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের অভাব মাথায় রেখে তারা পানি কম পান করে। ফলে এসব নারীর অধিকাংশই নানা রকম স্থায়ী ও অস্থায়ী রোগে ভুগছে। এছাড়াও তাদের অধিকাংশই বেশি সময় ধরে প্রস্রাব, পায়খানা আটকে রেখে কিডনিজনিত রোগসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। নারী ও প্রতিবন্ধীদের শৌচাগার ব্যবহারে মানসম্মত ব্যবস্থা ও যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকায় তাদের ভিতরে বিভিন্ন জটিল রোগ দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রায়ই সমীক্ষায় উঠে আসে বসবাসের অনুপযোগী শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ঢাকা শহর। নানান মানদন্ডের সাথে গনশৌচাগারের অভাবও আমার কাছে একটি কারণ বলে মনে হয়। কেননা রিক্সা চালক থেকে শুরু করে বহু ভাসমান মানুসের বসবাস রয়েছে ঢাকা শহরে। জীবিকার তাগিদে এসব স্বল্প আয়ের মানুষদের দিনের বেশীরভাগ সময়টাই শহরে রিক্সা চালিয়ে বা দিনমজুরের কাজে ব্যয় হয়। যথোপযুক্ত গনশৌচাগারের ব্যবস্থা না থাকায় এসব মানুষ বাধ্য হয়ে যত্রতত্র মল-মূত্রত্যাগ করে। যেটা পরিবেশ দূষণের শামিল। আর এই দূষণের প্রতিক্রিয়া জনগণের স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব ফেলবে সেটাই স্বাভাবিক। এছাড়াও স্বল্প আয়ের অনেক কম মানুষেরই সামর্থ্য আছে পয়সা দিয়ে শৌচাগার ব্যবহার করার। যার ফলে এরা নিজেরাও মল-মূত্র চেপে রেখে নিজেদের স্বাস্থ্য হুমকির মুখে ফেলছে। অথচ যদি কিছু দূরত্ব পরপর গনশৌচাগারের ব্যবস্থা থাকত তাহলে কেউ এই অসুবিধার সম্মুখীন হতনা।
ইতোমধ্যে সরকার গণশৌচাগার নির্মাণের কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আধুনিক গণশৌচাগার নির্মাণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে আমাদের দুই সিটি কর্পোরেশন। যদিও সিটি কর্পোরেশনের জায়গার অভাবে নতুন গণশৌচাগার নির্মাণ বেশ সময় সাপেক্ষ। তারপরেও এসব গণশৌচাগার নির্মাণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে দ্রুত প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতি সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ন ও অধিক জনসমাগমস্থানে সকলের ব্যবহার উপযোগী গণশৌচাগার নিশ্চিত করতে হবে। নারীদের মর্যাদা নিশ্চিত করে গণশৌচাগারগুলোতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গণশৌচাগারগুলোতে পুরুষ, মহিলা, শিশু ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ব্যবহারের জন্য আলাদা আলাদা ব্যবস্থা থাকতে হবে। গণশৌচাগার গুলো সার্বক্ষণিক পরিচর্যার জন্য পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করতে হবে। সকল জনগণকে বিনামূল্যে এসব গণশৌচাগার ব্যবহারের সুযোগ দিতে হবে। গণশৌচাগারগুলো মানুষের সহজে খুজে পাওয়ার জন্য আশে-পাশের রাস্তায় গণশৌচাগারের সাংকেতিক চিহ্ন সম্বলিত সাইনবোর্ড ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি গণশৌচাগারে সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিয়মিত তদারকি করতে হবে।
বিশ্ব যখন প্রযুক্তির বিপ্লব চলছে ঠিক সেই সময়ে আমাদের এই নাজুক অবস্থা সত্যিই বেমানান। দেশ ইতোমধ্যে স্বল্প উন্নত দেশের গন্ডি পেরিয়ে এসেছে। খুব অল্প দিনের ভিতরে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে নাম লেখাতে যাচ্ছে। মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে বাংলাদেশ। কিছুদিনের ভিতর পদ্মাসেতু দিয়ে হাজার হাজার গাড়ি ছুটবে, মেট্রোরেল ছুটে চলবে ঢাকা শহর জুড়ে। মানুষের দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু সব কিছুর সাথে উপরিউক্ত বিষয়গুলো সরকারের উচিত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা। দেশের উন্নতির সাথে সাথে সবকিছুকে একটা নিয়মতান্ত্রিকতার মধ্যে নিয়ে আ। আশা করি, দেশের নীতি নির্ধারকরা বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব সহকারে দেখবেন।
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
Email: ajoymondal325@yahoo.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন