জামালপুরের ইসলামপুরের দারুত তাক্বওয়া মহিলা ক্বওমী মাদরাসার আবাসিক কক্ষ থেকে নিখোঁজ হওয়া দ্বিতীয় শ্রেণির তিন শিশু শিক্ষার্থীর সন্ধান মিলেছে। নিখোঁজের পাঁচদিন পর গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত রাজধানীর মুগদা থানার মান্ডা এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে ইসলামপুর সার্কেল পুলিশ।
উদ্ধার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো-ইসলামপুর উপজেলার গাইবান্ধা ইউনিয়নের পোড়ারচর সরদারপাড়া গ্রামের মাফেজ শেখের মেয়ে মীম আক্তার (৯), গোয়ালেরচর ইউনিয়নের সভুকুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের মেয়ে মনিরা খাতুন (১১) ও সুরুজ্জামানের মেয়ে সূর্য ভানু (১০)।
উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন জামালপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) মো. সুমন মিয়া।
তিনি বলেন, নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের সন্ধান পেতে পুলিশ বিভিন্ন সূত্র ধরে সম্ভাব্য স্থানগুলোতে অভিযান চালায়। এর অংশ হিসেবে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীদের সনাক্ত করা হয়। পরে স্থানীয় রিকশাওয়ালাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মুগদা থানার মান্ডা এলাকার রাজা মিয়া (১৪) নামে এক রিকশাওয়ালার বাসায় তাদের সন্ধান পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া জানিয়েছে, সরল বিশ্বাসে ওই শিশুদের বোন মনে করে সে তার বাসায় আশ্রয় দিয়েছিল।
এদিকে, নিখোঁজের ৫ দিন পর ৩ মাদরাসাছাত্রী ঢাকার মুগদা থেকে উদ্ধার হলেও মুক্তি পাচ্ছে না সেই মাদরাসার ৪ শিক্ষক। ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মানব পাচারের মামলার ধারাটি উঠে গেলেও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ থাকায় শিগগিরই তাদের মুক্তি হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, আবাসিক মাদরাসা থেকে তিন ছাত্রী পালানোর ক্ষেত্রে তাদের নিরাপত্তা ও দায়িত্বের অভাব পাওয়া যায়। এছাড়া মাদরাসাটির সকল কার্যক্রম ধীরে ধীরে তদন্ত করা হবে। তিনি আরো জানান- একজন শিশু কোনোভাবেই গার্মেন্টেসে যোগদান করতে পারে না। তাই তদন্ত করে গার্মেন্টেস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিশু অধিকার আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন